দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক দলের মধ্যে অন্যতম একটি বিএনপি। এই দলের চেয়ারপরাসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশের সাবেক সেনা প্রধান প্রয়াত জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এমনকি তিনি ৩ বার বাংলাদেশের সরকারের দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে সম্প্রতি তিনি শারীরিক ভাবে নানা জটিলতায় ভুগছেন। এবং দেশে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার প্রসঙ্গ তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোষ্ট দিলেন বর্তমান বাংলাদেশের সরকার প্রধান এবং আওয়ামীলীগ দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার স্বামীর বর্ব/র/তা/কেও ছাড়িয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার খু/নি/দের বিচার না করে নিরাপদে বিদেশে চাকরি করার সুযোগ দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। কিন্তু তার স্ত্রী খালেদা জিয়া ছাড়িয়ে গেছেন স্বামীর বর্ব/র/তা/কেও। ১৯৯৬ সালে বিচার বাস্তবায়নের জন্য জেলে ঢুকানো হয় খুনি খায়রুজ্জামানকে। কিন্তু বিচার চলমান অবস্থায়, ২০০১ সালে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তার সরাসরি নির্দেশে এই খু/নি/কে জে/ল থেকে মুক্তি এবং প্রমোশন দিয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেওয়া হয়।’ রোববার রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা লেখেন।
সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, খু/নি খায়রুজ্জামানের প্রতি বিশেষ আশির্বাদ ছিল বিএনপি-জামায়াত জোটের। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হ/ত্যা ও কা/রা/গা/রে জাতীয় চার নেতাকে নির্ম/ম/ভা/বে হ/ত্যা/র পর ১৯৭৫ সালে মিসরে পোস্টিং দেওয়া হয় তাকে। এরপর জিয়াউর রহমানের আশির্বাদে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চাকরিতে ক্রমাগত পদোন্নতি হয় তার। এমনকি মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার পর্যন্ত বানানো হয় তাকে।’ ওই পোস্টে তিনি আরও লেখেন, ‘১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার সময় দেশজুড়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছে এই খু/নি খায়রুজ্জামান। তার দাপটে সবসময় আ/ত/ঙ্কে থাকতো প্রশা/স/নের কর্মকর্তারা। খালেদার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ফিলিপাইনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ছিল সে। কিন্তু ১৯৯৬ সালে বিএনপি সরকারের পতন ঘটে এবং সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এরপর জেল হ/ত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি হিসেবে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় খু/নি খায়রুজ্জামানকে। তারপর বিচারিক প্রক্রিয়ায় জেলে ঢুকানো হয় তাকে।’
জয় আরও লিখেছেন, ২০০১ সালে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আবারো ক্ষমতায় আসে বিএনপি-জামায়াত জোট। প্রথমেই বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হ/ত্যা/কা/ণ্ডের বিচার থামিয়ে দেয় তারা। এমনকি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরেই, জে/লে আ/ট/ক খু/নি কামরুজ্জামানকে ছেড়ে দেওয়ার সরাসরি নির্দেশ দেন খালেদা জিয়া।’ তিনি লেখেন, খালেদা জিয়ার নির্দেশে, খু/নি খায়রুজ্জামানকে জে/ল থেকে প্রথমে বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে স্থানান্তরিত এবং তারপর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এখানেই থেমে নেই খালেদা জিয়ার স্বেচ্ছাচারিতা। তার নির্দেশে খু/নি খায়রুজ্জামানকে অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদায় পদোন্নতি দেওয়া হয় এবং পাঠানো হয় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত হিসেবে। পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াত জোটের মেয়াদ শেষ হলে সে কর্মস্থল থেকে পালিয়ে যায়।’
বর্তমান সরকারের দায়িত্ব পালন করছে আওয়ামীলীগ দল। এই দলটি টানা ৩ মেয়াদে দেশের সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়েছেন। এই সরকারের আইসিটি পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তার আরও একটি বিশেষ পরিচয় রয়েছে। তিনি বর্তমান সরকার প্রধান এবং আওয়ামীলীগ দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা পুত্র।