বিএনপি সভানেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের একজন অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, যিনি নারায়নগন্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহন করছে। তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পর তাকে দলীয়ভাবে সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছেন দলের নেতাকর্মীরা। এবার এই নেতাকে তার দলীয় পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে তাকে ঠিক কী কারনে দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সেটা জানানো হয়নি এখনও। গতকাল (রবিবার) অর্থাৎ ২ জানুয়ারি বিএনপির বর্ষীয়ান নেতা এবং দলের সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষর করা একটি চিঠিতে এই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই চিঠিতে বলা হয়, নির্দেশিত হয়ে জানাচ্ছি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য পদ থেকে আপনাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। তবে দলীয় পদ থেকে তৈমুরকে কেন সরিয়ে দেয়া হলো, এ নিয়ে কোনো তথ্য জানায়নি বিএনপি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচন তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১৬ জানুয়ারি। এই নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন তৈমুর আলম খন্দকার। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য পদে ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক তৈমুর আলম খন্দকার। তবে ইতোপূর্বেই নির্বাচনের সময় দলীয় দায়িত্ব পালনের জন্য এ পদে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেয়া হয় যুগ্ম আহাবায়ক মনিরুল ইসলাম রবিকে।
বিএনপি থেকে বিভিন্ন সময়ে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না দলটি। এ কারণে এবারের স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দেয়নি বিএনপি। তবে বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীকে স্বতন্ত্রভাবে লড়তে দেখা গেছে। তৈমুরও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাতি প্রতীক নিয়ে নাসিক নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
গত ২৯ ডিসেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামলাকে ফোন দেন। এটিএম কামাল তখন জানিয়েছিলেন, বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, তৈমুর ব্যর্থ হলে কিন্তু সরকার বলবে বিএনপির একজন নেতা স্বতন্ত্র নির্বাচন করে পরাজয় বরণ করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে আপনারা বিবেক বিবেচনা করে যা ভালো মনে হয় করবেন। আপনাদের যার যার অবস্থান থেকে আপনারা আপনাদের কর্তব্য ঠিক করে নেবেন। ওই সময় তৈমুরের সঙ্গেও মুঠোফোনে কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
এটিএম কামাল এই বিষয়ে আরো জানিয়েছেন, দলের মহাসচিব নাসিক নির্বাচনের বিষয়ে বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে কাজ করার জন্য দলের তরফ থেকে কোনো ধরনের বিধি-নিষেধ নেই। আপনারা যারা কর্মী সমর্থক রয়েছেন তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে তাকে নির্বাচনে জয়ী করতে কাজ করলেও, দলের কোনো বিধি-নিষেধ থাকবে না। বিএনপি সবসময় এদেশের সাধারন মানুষকে নিয়ে ভাবে তাদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাস করে, তাই গনমানুষের চাহিদা ও তাদের যে অধিকার সেখানে আমাদের কোনো বিধি-নিষেধ থাকবে না। ভোটের অধিকার একজন নাগরিকের বড় অধিকার।