বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তার মতে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে চট্টগ্রামে ঘটে যাওয়া ঐতিহাসিক ঘটনার প্রেক্ষাপটে এ দাবি প্রমাণিত হয়।
তৎকালীন অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সহ-অধিনায়ক মেজর জিয়ার অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া চট্টগ্রাম সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় অস্ত্রাগার থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর অস্ত্র সংগ্রহ ঠেকানোর সিদ্ধান্ত নেন। ২৪ মার্চ ১৯৭১ সালে এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালি সৈন্যদের অস্ত্রহীন হয়ে পড়া থেকে রক্ষা করেন।
বিএনপি মহাসচিব ফখরুল বলেন, “বেগম জিয়া মুক্তিযুদ্ধের সেই সময়ে যে সাহসিকতা ও নেতৃত্ব দেখিয়েছেন, তা তাকে বাংলাদেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।” তিনি আরও প্রশ্ন করেন, “যদি বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধা না হন, তাহলে আর কে মুক্তিযোদ্ধা হবেন?”
এ ঘটনার ইতিহাস তুলে ধরতে মুক্তিযুদ্ধ গবেষক মেজর (অব.) সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক জানান, বেগম জিয়ার নির্দেশে চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় অস্ত্রাগারে থাকা অস্ত্র পাকিস্তানি বাহিনীর কাছে পৌঁছানো রোধ করা সম্ভব হয়। তার এই দূরদর্শী সিদ্ধান্তে ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ১১০০ সৈন্য এবং মেজর জিয়া মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য প্রস্তুত থাকতে সক্ষম হন।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া বন্দিদশায় থেকেও মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অবিচল সমর্থন দেখিয়েছেন। তিনি শুধু নেতৃত্ব দেননি, তিনি তার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি মাইলফলক স্থাপন করেছেন।”
মুক্তিযুদ্ধকালীন বেগম জিয়ার অবদান আজও যথাযথভাবে মূল্যায়িত হয়নি বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে এই ঘটনাকে নতুনভাবে বিবেচনার আহ্বান জানান তিনি।