দেশের বিভিন্ন আলোচিত ঘটনা গুলোর মধ্যে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র নির্যাতনের ঘটনা অন্যতম। গত প্রায় দেড় বছর আগে মধ্যরাতে শয়নকক্ষে প্রবেশ করে এক নারীকে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে নির্যাতন করেন দেলোয়ার ও তার লোকজন। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় ঐ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই বেরিয়ে আসে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।
তবে অবশেষে এ ঘটনায় দায়ের করা মমলায় ১৩ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) ১২টা ১ মিনিটে নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জয়নাল আবেদীন এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় ৯ আসামি কারাগারে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এই মামলার ৯ আসামিকে এজলাসে তোলা হয়। সকাল পৌনে ১০টায় কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কারাগার থেকে তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয়।
এদিকে, আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মামুনুর রশীদ লাভলু এ মামলায় মোট ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে ৪ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পিবিআই। অভিযুক্তদের মধ্যে ৯ আসামি জেলহাজতে রয়েছে। অন্য চারজন পলাতক। গত এক বছরে আদালত বাদীসহ ৪০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন। ইতোমধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণসহ মামলার সব কার্যক্রম শেষ হওয়ায় মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক রায়ের দিন ধার্য করেছেন।
এদিকে আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতিত ঐ নারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সাহায্যের আবেদন করেন। সেখানে তিনি বলেন, ঐ ঘটনার পর থেকে তার স্বামীও তাকে দেখে না। এই মুহুর্তে অনেক কষ্টেই দিন কাটতে তার। তাই সরকারের কাছে তিনি তার ভরনপোষণের দাবি করেছেন।