বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে বর্তমান সময়ে বেশ কিছু সংখ্যক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা উদ্বোধন করেছেন। কিছুদিন আগে দেশে বিপুলসংখ্যক সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। উন্নয়ন কর্মকান্ডের ধারাবাহিকতায় এবার প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে যান ২৯ টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং চারটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার জন্য।সেখানে গিয়ে তিনি পলোগ্রাউন্ড ভাষণ দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের পলো গ্রাউন্ডে ভাষণের শুরুতে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, ‘অনরা ক্যান আছন, বেইয়াগগুণ গম আছননি? অনরাল্লাই পেট পুরেদ্দে চাইতো আসসি’ (আপনারা কেমন আছেন? সবাই ভালো আছেন? আপনাদের জন্য মন কাঁদছে, দেখতে আসছি)। এরপর পুরো পলোগ্রাউন্ডে উপস্থিত নেতাকর্মীরা সমস্বরে ‘আরা ভালা আছি’ বলে জবাব দেয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্য শুরু করেন।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি সমাবেশে আসেন। এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি হাত বাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানান। এর আগে একই দিনে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে রাষ্ট্রপতির কুচকাওয়াজে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে যান তিনি। পরে সিআরবি হয়ে পোলো গ্রাউন্ডে আসেন। প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম কলেজ, সিটি কলেজসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে ২৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এদিকে সমাবেশ শুরুর আগে থেকেই চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পলো মাঠে জড়ো হতে থাকেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে পুরো আঙিনা কানায় কানায় ভরে যায়। ময়দানের বাইরে আশপাশের সড়কেও অবস্থান করেন বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। ঢাক-ঢোলের তালে গান গাইতে নাচতে জনসভার মাঠে আসেন তারা। বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা মাথায় রঙিন পোশাক ও ক্যাপ পরে আসেন। পুরো মাঠ ও আশপাশের রাস্তাগুলো সাজানো হয় বিভিন্ন ইউনিটের বর্ণিল পোশাকে।
পলো গ্রাউন্ডের পশ্চিম প্রান্তে ১৬০ ফুট লম্বা নৌকার রেপ্লিকার ওপর তৈরি করা হয় বিশাল মঞ্চ। লাল-নীল, সবুজ, সাদা, হলুদ বেলুন দিয়ে সাজানো হয় পুরো মাঠ। নিরাপত্তার জন্য জনসভার মাঠকে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে কয়েক স্তরে ভাগ করা হয়। মঞ্চ ও মঞ্চের আশপাশের ব্লকে নেওয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিষয় তুলে ধরেন। দেশ উন্নয়নের মাধ্যমে আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছে, যেটা কখনোই রাতারাতি সম্ভব নয়, এমনটাই বলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনে চট্টগ্রামবাসীদের মাঝে ভিন্ন ধরনের উচ্ছ্বাস দেখা দেয়।