বাংলাদেশ জাতীয়বাদ দল (বিএনপি) বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান একটি রাজনৈতিক দল। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সেই সময়ে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করা জিয়াউর রহমান এই দলটি প্রথম গড়ে তোলেন।
বর্তমানে বিএনপি তারা একটি নিরপেক্ষ সরকার গড়ে তুলতে ও একটি সুষ্ঠ নির্বাচন দাবিতে রাজপথে নামার ঘোষনা ইতিমধ্যে দিয়েছে। বিএনপি দাবি করছে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং দেশে একটি শান্তিপূর্ন নির্বাচন। তারা তাদের আন্দোলনের ঘোষনা দিয়েছেন এবং বর্তমান সরকারকে হঠিয়ে দেশে গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন ও একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।একই দাবি আদায়ে রাজপথে নামতে চায় এমন দলগুলোকে, সাথে নিয়ে রাজপথে নামতে চায় বিএনপি। অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট ও জোটের লক্ষ্য নিয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের বাইরেও তোলপাড় শুরু করছেন নেতারা।
সবাই একই প্লাটফর্ম নিয়ে এসেছেন, বিএনপি বড় আন্দোলন গড়তে চায়। শিগগিরই অনুষ্ঠানের জন্য খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে একাধিক তথ্য পাওয়া গেছে।
মহামরিসংক্রান্ত সংক্রমণ কমে যাওয়ায় আজ বিধিনিষেধ বাড়ছে। বিধিনিষেধ আরোপের পর থেকে বিএনপি সরকার ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো কর্মসূচি স্থগিত করেছে। আজ আবারও রাজনীতির মাঠে সক্রিয় দলটি।
এবার বিএনপির প্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, এখন তেল-গ্যাস, বিদ্যুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল করবে। কর্মসূচির খসড়া তৈরি করা হয়েছে, যা স্থায়ী কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত করা হবে। দুই দিনের কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনা করতে সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচির জন্য রাস্তাগুলো চূড়ান্ত করা হয়েছে অন্যদলগুলো।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সব দলকে সরকারে আনতে একটি প্লাটফর্ম চাইছে দলীয় হাইকমান্ড। এ কারণে ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে সক্ষম করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রহমান ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতার সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতাদের দীর্ঘ বৈঠক হয়।
রোববার রাতে আন্দোলন ও জোট বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ২০ শরিকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমেদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। এটা দুজনের মধ্যে দীর্ঘদিনের ভুল বোঝাবুঝি। পরদিন একযোগে উভয় পক্ষের নেতারা পথ চলার অঙ্গীকার করেন।
মনের নেতাদের সঙ্গে বলে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনের কথা বলার সঙ্গে দেখা করার কাজগুলো নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গঠন শুরু করেছে। এরই মধ্যে অন্তত ৩০টি রাজনৈতিক দলের অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শেষ হয়েছে। আর নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে আন্দোলনের দাবিতে ঐক্য গড়তে চান তারা।
শুক্রবার আরও ২৫টি বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিকের সাথে আলোচনা করার কথা রয়েছে। দলগুলোর ঐক্য সংক্রান্ত সব মন্তব্য পর্যালোচনা শেষে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব তুলে ধরা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আলোচনার মাধ্যমে চিত্রিত করা যেতে পারে।
বিএনপির সঙ্গে একীভূত হওয়ার বিষয়ে নাগরিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া আন্দোলন ও বিএনপির সঙ্গে বৃহত্তর ঐক্য হলেও আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়নি। দলের যেকোনো প্রস্তাবে আমরা ইতিবাচক। সরকার অপসারণের দাবিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিবাদে আমরা একমত।
ঐক্যের বিষয়ে জানতে চাইলে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্দলীয় ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি সরকারের এখন। আমরা বিষয়টি নিয়ে বৃহত্তর ঐকমত্য গড়ে তুলতে চাই। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে দলের সঙ্গে অনেকেই আলোচনা করেছেন। আমরা শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসব সরকারের অনুশাসন। দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে আসার জায়গা।
বিএনপির একাধিক নীতিমালা, “সভা-সেমিনার নিয়ে আইক্যার নেতাদের বক্তব্য। বিরোধী দল থাকলেও বিরোধী দল আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে চায়। দলটির জন্য একটি কর্মসূচি বেছে নেওয়া হয়েছে। জরিপে নিরপেক্ষ ঐক্যের কথা তুলে ধরা হয়েছে। সরকারের প্রয়োজন হতে পারে।দলের শীর্ষ নেতারা মাঠে কাজ করছেন।বৃহত্তর ঐক্যের নমুনা বা তার প্রস্তাব তুলে ধরতে চান।দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপের পর প্রতিক্রিয়া জানাতে বিএনপি।
বিএনপি নেতারা বলেন, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অধ্যায় ৪ দশকের বেশি। ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। সামনে ৪০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান হবে কয়েকটি। দলীয় প্রধানের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও ইতিবাচক কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হবে।
দেশের সার্বিক দিক বিবেচনা করে বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তারা একটি সুষ্ঠ নির্বাচন চায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে যেমন, তেল-গ্যাস, বিদ্যুতসহ মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল করবে। তারা একটি বৃহত্তম ঐক্য গঠন করতে চায় যার উদ্দেশ্য দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন, দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ আরো বেশ কিছু দাবি। আর তাদের এই দাবি পূরণের লক্ষে একটি ঐক্যবদ্ধ পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়।