ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনসহ দেশের বড় বড় শহরে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ২৬০টি বিলাসবহুল বাড়ির সন্ধান মিলেছে। তবে ২৬০টি প্রপার্টির মধ্যে কিছু আধুনিক ফ্ল্যাটও রয়েছে। ব্রিটেনের কোম্পানি হাউসের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানী লন্ডনে সবচেয়ে বেশি ১৫৫টি বাড়ি রয়েছে। লিভারপুলে ৩০টি রয়েছে, বাকিগুলি অন্যান্য বড় শহরে রয়েছে।
ব্রিটেনের বর্তমান বাজারদরে বাড়িগুলোর মোট মূল্য ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকারও বেশি। কোম্পানি হাউসের তথ্য অনুযায়ী, সাইফুজ্জামান চৌধুরী ২৬০টি প্রপার্টির ক্রয় করতে প্রায় ১৩৫ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড খরচ করেছেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা। বাড়ির মোট সংখ্যার ১৭৯টি বাড়ি ও ফ্ল্যাট রয়েছে জেডটিএস (ZTS) প্রপার্টিজের আওতায়। বাকি বাড়িগুলো মন্ত্রীর অন্যান্য প্রপার্টিজ কোম্পানিগুলোর আওতায়। জেডটিএস (ZTS) প্রপার্টিজ এর একক মালিক রয়েছেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী নিজে । ২৬০টি বাড়ির মধ্যে সবচেয়ে দামি বাড়িটির বর্তমান মূল্য হচ্ছে প্রায় ১৩ মিলিয়ন পাউন্ড যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৮২ কোটি টাকা। বাড়িটি লন্ডনের cleveland street এ অবস্থিত।
তিনি এটি ১৬ জুলাই, ২০২১1-এ এককালীন মূল্য পরিশোধ করে কিনেছিলেন।
সম্প্রতি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশের একজন মন্ত্রীর বিদেশে ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকার ব্যবসা রয়েছে। প্রয়োজনে তারা সরকারকে সব তথ্য ও নথি দিয়ে সাহায্য করবে। এরপর থেকেই বিষয়টি টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়। একপর্যায়ে মন্ত্রীর পরিচয় প্রকাশ পায়।
তিনি হলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর জাবেদ যিনি তিনবারের সংসদ সদস্য এবং বর্তমানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। এরপর ব্রিটেনে তার সম্পত্তি ব্যবসার হিসাব প্রকাশ করা হয়। যুক্তরাজ্য সরকারের কোম্পানি হাউসের তথ্য থেকে দেখা যায়, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ৮টি প্রপার্টিজ কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে কিছু কোম্পানির মালিক তার একা এবং কিছুতে তিনি তার পরিবারের সদস্যদের সাথে শেয়ারহোল্ডার।
ব্রিটেনে মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর কোম্পানিগুলো হলো নিউ ভেনচার (লন্ডন) লিমিটেড, রুখমিলা প্রপার্টিজ, জেবা প্রপার্টিজ, জেডটিএস প্রপার্টিজ, সাদাকাত প্রপার্টিজ, জারিয়া প্রপার্টিজ, জেডটিএস প্রপার্টিজ ভেঞ্চার লিমিটেড, এরামিট প্রপার্টি। কোম্পানিগুলি ২০১০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে খোলা হয়েছিল।