সম্প্রতি অসম বয়সে বিয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হচ্ছে নানা মহলে।আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় এটি সহজে মেনে নিতে চায় না অনেকেই।যদিও অনেক ক্ষেত্রে সেটি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হয়।কিন্তু শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয় না। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ গোলাম মাওলা রনি হুবহু পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো।
লোকটির কর্মকাণ্ড দেখে দেশের লোভী এবং কাণ্ডজ্ঞানহীন বুড়োদের মধ্যে যদি ১৮ বছর বয়সী মেয়েদেরকে বিয়ে করার লালসা জাগে তবে ডামি সরকারের জন্য সেটা শাপে বর হয়ে দেখা দিবে । বুড়োদের ঈর্ষা-নড়াচড়া-চেষ্টা তদবির দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়িয়ে দিবে যা কিনা শেষমেস জিডিপিতে বিশাল অবদান রাখবে এবং সরকারকে অর্থনৈতিক মন্দা এবং সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ থেকে রক্ষা করবে ।
বুড়োরা মেয়েদেরকে পটানর জন্য নিজেরা রং বেরঙের পোশাক আশাক কিনবে ! ঘড়ি-আংটি-ব্রেসলেট কেনার পাশাপাশি নিজেকে ধনী প্রমানের জন্য গাড়ি-দামি পারফিউম ইত্যাদি কেনা কাটা শুরু করবে । এরপর, কাউকে পটাতে পারলে তার জন্য কেনাকাটা-খাওয়া দাওয়া, দেশ বিদেশে ঘুরাঘুরি করতে বিশাল বিনিয়োগ শুরু করে দিবে ।
পরিশেষে যদি বিয়ে থা হয়ে যায় তবে আলাদা বাড়ি, গাড়ি ছাড়াও তরুণী বধূর নামে যায়গা সম্পত্তি লিখে দিতে সরকারকে প্রচুর ট্যাক্স-ভ্যাট প্রদান করবে । বুড়োরা তরুণী বউয়ের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালগুলোর আয় রোজগার বেড়ে যাবে । ফলে ডামি সরকারের অর্থনীতিক কর্মকাণ্ড এতোটা বেড়ে যাবে যার কারনে হয়তো আলাদা একটা মন্ত্রণালয় গঠন জরুরী হয়ে পড়বে !
কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে বর্ণিত আছে যে, মৌর্য সাম্রাজ্যে বেশ্যাদের জন্য একটা পৃথক মন্ত্রণালয় ছিল এবং মন্ত্রীকে বলা হতো গনিকাধাক্ষ ! সুতরাং বর্তমান জমানার কতিপয় বুড়োর খায়েশ বনাম বিকৃত রুচির বিশাল বাজার নিয়ে তৈরি মন্ত্রণালয়ের নাম কি হতে পারে তা নিয়ে চিন্তা করতে থাকুন । আর অন্যদিকে,
ডামি সরকারের ডামি কর্তারা নাকে তেল দিয়ে সরকারের উন্নতি নিয়ে ভাবতে থাকুক ! কথা গুলো বললাম এই কারনে যে, আমার কেন জানি মনে হচ্ছে – সরকারের কোন সুনির্দিষ্ট মাষ্টার প্লান রয়েছে – নইলে লোকটি কেন বুড়াদের সমাজে চাঞ্চল্য সৃষ্টি এবং তরুণদেরকে খেপিয়ে তোলার জন্য বিনা বাধায় দানবের মতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে !