গেল মাসে ছিল বাংলাদেশ জাতীয়তা বাদী দল বিনপির প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিকী। আর এই উপলক্ষে সারা দেশেই বিনপি নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করেছিল। এমনটা ঘটেছিল মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলাতেও।মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় যুবদল কর্মী শহীদুল ইসলাম শাওনের (২৩) মৃত্যু ইটের আঘাতে হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল-মামুন এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, গত ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলে সদর উপজেলা বিএনপি ও মুন্সীগঞ্জ পৌর বিএনপির নেতাকর্মীরা পুরাতন ফেরিঘাটে অনির্ধারিত সমাবেশ ও ঝাটিকা মিছিল বের করে। এদিকে তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে নিজেদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। তারা শ্রমিক লীগের কার্যালয় ভাংচুর করলে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এসময় তারা চারদিক থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। ইটের আঘাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল, সদর থানার ওসিসহ অন্তত ১৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার কার্তুজ ও গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। বিএনপি কর্মীরা ১০-১২টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। পরে পুলিশ ২৪ জনকে আটক করে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, নৈরাজ্য সৃষ্টি ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার অভিযোগে পুলিশ ও জনসাধারণের বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল-মামুন দাবি করেন, যুবদল কর্মী শাওন আরেক বিএনপি কর্মীর পেছন থেকে ছোড়া ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তার স্বজনরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ২২শে সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে তার ‘মৃ’ত্যু’ হয়।
পুলিশ সুপার উল্লেখ করেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নিহত শাওনের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে ময়নাতদন্তের জন্য ডিএমকে ফরেনসিক বিভাগে হস্তান্তর করেছে। ফরেনসিক বিভাগ ময়নাতদন্ত সম্পূর্ণ করার জন্য একটি চূড়ান্ত মতামত দিতে ভিসেরা পরীক্ষা করে। এতে মাথায় আঘাতের কারণে ‘মৃ’ত্যু হয়েছে বলে মত দিয়েছেন। নিহত শাওনের মাথার পেছনে ভোঁ’তা’ আঘা’তের’ চিহ্ন রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। গানের শুটিংয়ে কোনো ক্ষতি নেই।
প্রসঙ্গত, গত ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলে জেলা শহরের মুক্তারপুর এলাকার পুরাতন ফেরি ঘাটে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়।আর সেই ঘটনায় পুলিশ নেতা কর্মীরা সহ অনেকেই হন বেশ আহত। তবে সেই সময়ে বেশ গুরুতর পরিস্থিতি হয় শাওনের। একটা পর্যায় প্রাণ চলে যায় শাওনের। সে সময়ে তার রাজনৈতিক দল নিয়েও পরে যায় বেশ টানাটানি।