সম্প্রতি নিখোঁজের তিনদিন পর গত সোমবার (৭ নভেম্বর) নদী থেকে উদ্ধার করা হয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের ‘মৃ”তদে’হ। তার মৃ’ত্যু যে স্বা’ভাবিক হ’য়নি, এর প্রমান মিলেছে ইতিমধ্যেই। আর এরই আলোকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে রীতিমতো কাজ করে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গত ৪ নভেম্বর ভোর আড়াইটা থেকে আড়াইটার মধ্যে পরশকে ‘খু”ন’ করা হয়। ওই সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজন এবং একটি প্রাইভেট কার মৃ’তদেহ সরিয়ে নেওয়ার জন্য ওই এলাকার কিছু সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়।
রাত ১:২৮ মিনিটে, ৬ জন যুবক চনপাড়ার ৬ নং ওয়ার্ডের গলি থেকে বেরিয়ে চনপাড়া-রূপগঞ্জের প্রধান সড়কে গিয়ে ১ নং ওয়ার্ডের দিকে বাম দিকে মোড় নেয়। রাত ১:৫১ টায় তারা ৬ নং ওয়ার্ডে ফিরে আসে। ২.২৩ টায় বালু ব্রিজ এলাকা থেকে চার যুবক ৬ নং ওয়ার্ডে আসে। ২০ মিনিট পর বেশ কয়েকজন যুবক ঘটনাস্থলে যায়।
রাত ২টা ৪৪ মিনিটে দুই যুবক রাস্তায় এসে হাঁটতে থাকে। ২টা ৫২ মিনিটে বালু ব্রিজ এলাকা থেকে একটি দ্রুতগামী সাদা টয়োটা এক্সিও গাড়ি এসে ৬ নম্বরের দিকে চলে যায়। একই সময়ে গ’লির প্রবেশপথে পাহারা দেওয়া দুই যুবক গলির বাইরে চলে যায়।
ঠিক ১১ মিনিট পর সাদা প্রাইভেটকারটি দ্রুত ৬ নং ওয়ার্ড থেকে যে দিক থেকে এসেছিল, অর্থাৎ বালু ব্রিজের দিকে চলে যায়। গাড়িটি ৬ নং ওয়ার্ডের গলি পার হলে গাড়ির দুপাশে দুজন লোক হেঁটে গাড়িটিকে পার করে দেয়।
র্যাব জানিয়েছে, রায়হান গ্রুপের হাতে বু’য়েটের ছাত্রদের ‘হ”ত্যা’ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, পরশ ‘হ”ত্যা’র মূল রহস্য উদঘাটন করতে না পারলেও পরশ ‘হ”ত্যা’কা’ণ্ডে জড়িত কয়েকজনকে আমরা শনাক্ত করেছি। তার ‘হ”ত্যা”কা’ণ্ডে রায়হান গ্রুপের জড়িত থাকার সন্দেহ রয়েছে। রায়হানের বিরুদ্ধে একাধি’কমা’মলা রয়েছে। সে চনপাড়ায় ‘মা”দ’ক ব্য’বসার সঙ্গে জড়িত।
তবে ফারদিনের বিরুদ্ধে মা’দ’কে’র অভিযোগের আলোকে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ফারদিনের বাবা সংবাদম মাধ্যমে দাবি করেন, তার ছেলে কখনোই ‘মা’দ’কের সাথে জড়িত নন, মিথ্যা অভিযোগ এনে এ ঘটনাকে অন্যদিকে নেয়ার চেষ্টা করে হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।