নিখোঁজের তিনদিনের মাথায় গত সোমবার (৭ নভেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃতদেহ উদ্ধার করে ম’য়’নাত’দন্ত সম্পন্ন হওয়ার জানা যায়, ফারদিনকে পরিকল্পিতভা’বে ‘হ”ত্যা’ করে লাশ নদীতে ফেলা হয়। আর এ ঘটনার পর থেকেই গোটা দেশজুড়েই শুরু হয় ব্যাপক শোরগোল।
তবে এদিকে এবার ফারদিনের ‘মা’দ’কে’র সম্পৃক্ততা নিয়ে মিথ্যা খবর প্রকাশ করা হচ্ছে- দাবি করে তার বাবা কাজী নূর উদ্দিন বলেন, ফারদিনের মা’দ’কে’র সম্পৃক্ততা নিয়ে মিথ্যা খবর ছড়ানো মানে সুষ্ঠু তদন্ত প্রক্রি’য়া ব্যাহত করা এবং যারা ফারদিনের পক্ষে ছিলেন তাদের মনোবল ভেঙ্গে দেওয়া। তাদের নৈতিক মূল্যবোধে আঘাত করা। যে রিপোর্ট করেছে বা মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে কেউ কখনই দেখাতে পারবেন না সেদিন মোবাইলটি ফারদিন ব্যবহার করেছে কি না।
তিনি বলেন, ‘আমার সন্তান ধূমপানও করেনি। ফেনসিডিলে আসক্ত হওয়ার প্রশ্নই আসে না।’
তদন্তের দাবিতে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন কাজী নূর উদ্দিন।
তিনি বলেন, যে ছেলে বুয়েটে ডিবেটিং করছে, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় যাচ্ছে সে কীভাবে ফেনসিডিলে আসক্ত হবে? যারা ফেনসিডিল সেবন করেন তারা কি ডিবেট করার অবস্থায় থাকে? তারা কি আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতা করতে পারে?
তিনি বলেন, ৬ থেকে ৭ জন মাদক ব্যবসায়ী ফারদিনকে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। কিন্তু তার শুধু বুকে ও মাথায় আঘাত লেগেছে। ৬ থেকে ৭ জন একসঙ্গে মারলে হাত বা পায়ে কিছুটা আঘাত পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা তা করেনি।
এদিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে চিকিৎসক জানিয়েছেন, ফারদিনের মাথায় এবং বুকে অনেক আঘাতের চিহ্ন পায় গেছে। আর এরই আলোকে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে যে, ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে।