সম্প্রতি বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নুর পরশ ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দুরন্ত বিপ্লবের মৃত্যুর ঘটনায় রীতিমতো সারা-দেশজুড়েই শুরু হয়েছে ব্যাপক শোরগোল। শুরুতে নিখোঁজ এরপর দুজনের মৃ”তদেহই নদী থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়াও তাদের দুজনের আ”ঘা”তের চি”হ্ন’ এক’ই ধরণের বলে দাবি করেছেন চিকিৎসক।
উভয়ের মাথায় ও বুকে আঘাত ছিল বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা। প্রাথমিকভাবে তারা দুজনকেই ”হ”ত্যা” করেছে বলে জানিয়েছে।
নদীতে দুটি ‘লা”শ পাওয়া গেছে; উদ্ধারের সময় পরশের লাশ পচে গেছে। পুলিশ ও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দুরন্তের দেহও ‘প”চে গেছে। ‘হ”ত্যা”র ধরন অভিন্ন হওয়ায় দুজনের মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে।
গত শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা নদীর পানগাঁও এলাকা থেকে দুরন্ত বিপ্লবের ‘লা””শ উদ্ধার করা হয়। ওই রাতে’ই ম”র্গে স্বজনরা তাকে শনাক্ত করেন। গত ৭ নভেম্বর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
পর’শের লা”শে’র ম’য়না’তদ’ন্ত শেষে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শেখ ফরহাদ জানান, প্রাথমিকভাবে পরশকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন তারা। তার মাথার বিভিন্ন স্থানে আ”ঘা’তের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া বুকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। চিকিৎসক জানান, পারসের শরীরে আ”ঘা’তের চিহ্ন স্বাভাবিক নয়।’
এদিকে রোববার নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক মফিজ উদ্দিন প্রধান নিপুর নেতৃত্বে একই মর্গে দুরন্তের লা”’শে’র ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়না’ত’দন্ত শেষে তিনি জানান, নিহতের মাথা ও বু’কে ‘আ”ঘা’তের চিহ্ন রয়েছে। এটি একটি ধাতব বস্তুর প্রভাবের চিহ্ন বলে মনে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দুরন্তের মা’থা’র পেছনে ও দুই পাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মাথার ঝিল্লির নিচেও ‘আ’ঘাতে”র চিহ্ন দেখা গেছে। তা ছাড়া বুকেও একই রকম চোট রয়েছে। প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছে- এটি হ”’ত্যা”’কা”ণ্ড।
চিকিৎসক এবং পুলিশ উভয়েই মনে করছেন, এটি কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, তাদের দুজনকেই পরিকল্পিতভাবেই ”হ”ত্যা” করা হয়েছে। আর এরই আলোকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।