নিখোঁজের তিনদিনের মাথায় শীতলক্ষ্যা নদী বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের (২৪) মৃত্যুর ঘটনায় বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে পরবর্তীতে এ ঘটনায় পুলিশের দেয়া প্রমানের আলোকে জানা যায়, ফারদিনকে কেউ ‘হ””ত্যা’ করেননি বরং তিনি নিজ ইচ্ছায় আ’ত্ম’হ’নন করেছেন।
কিন্তু পুলিশের এ তথ্য মানতে নারাজ ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা। তিনি এ ঘটনায় বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে দায়ী করেছেন। ফারদিন হত্যাকাণ্ডের শিকার দাবি করে তিনি বুশরাকে এ হত্যাকাণ্ডের ইন্ধনদাতা হিসেবে উল্লেখ করেন।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখারের আদালতে বুশরার জামিন শুনানি হয়। এদিকে আদালতে বুশরার জামিনের তীব্র বিরোধিতা করেন ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা। এরপর আদালত থেকে বেরিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ফারদিনের বাবা বলেন, “বর্তমান তদন্ত সংস্থা যা বলছে সেটা আষাঢ়ের গল্প। বুশ আমার ছেলেকে ‘হ”ত্যা” করেনি। সে খু”নে’র ই’ন্ধন। ‘বুশ’রা আ’মার ছেলেকে’ হ”ত্যা”’র’ পরিকল্পনা করেছিল। বুশরা একজন মেয়ে মানুষ (নারী)। রাত ১০টায় আমার ছেলে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। এরপর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে অন্যায়ের প্রতিবাদ করত। বুয়েট ছাত্র আবরার ‘হ[”ত্যা’র প্রতিবাদও করেছে। আমি সন্দে’হ করি যে এই কারণে তাকে মারা যেতে হয়েছিল। এই হত্যার বিচার চাই।
অন্যদিকে বুশরার আইনজীবী মোখলেসুর রহমান বাদল শুনানিতে বলেন, “বুশরা ফারদিনের ভালো বন্ধু ছিলেন। তিনি কোনোভাবেই এই ‘হ”’ত্যা”কা”ণ্ডে’র সঙ্গে জড়িত নন। তদন্ত সংস্থা ইতিমধ্যেই সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে, ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন। বুশরা একজন মেধাবী ছাত্রী, সে নি”র্দোষ, আমরা তার জামিন চাই।
পুলিশের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই নানা কারণে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েছিলেন ফারদিন। আর এরই আলোকে একটা পর্যায়ে আত্মহননের পথ বেঁচে নেন তিনি।