সম্প্রতি গত কয়েকদিন আগেই নিখোঁজের তিনদিনের মাথায় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃ’ত’দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বেরিয়ে তার মৃ’ত্যু’র আসল কারণ। তবে এ ঘটনার রহস্য এখনো ভেদ করতে পারেনি কেউ। গত একটা মাস অতিবাহিত হলেও রহস্যের ঘোর যেন কাটছেই না।
কারা কি কারণে ‘খু”ন’ করেছে সে হিসাব মেলাতে পারছে না কেউ। ‘হ”ত্যা”র তদন্ত নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
মিডিয়ার তথ্য একটির সাথে অন্যটির মিল নেই। মাদকের কারণে ফারদিনকে হ”ত্যা’ করা হয়েছে তা মানতে নারাজ পরিবার।
তর্ক-বিত’র্ক বা মতা’নৈ’ক্যের বেড়াজালে ফারদিন নূর পাশের রহস্যজনক ‘হ”ত্যা’কা’ণ্ডের বিভিন্ন দিক খ’তি’য়ে দেখা হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা এখানে তাদের দিন শুরু করে এই ধারণা নিয়ে যে তারা সততা, মেধা এবং নিষ্ঠার সাথে আত্ম-বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বকে পরিবর্তন করবে।
ফারদিনকে কারা এবং কেন হত্যা করেছে সে প্রশ্নের উত্তর প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমের কাছ থেকে পাচ্ছেন না ফারদিন নূরের বাবা কাজী নূর উদ্দিন।
ভাবনা প্রকাশের আশায় কাজী নূর উদ্দিন সরকারি চাকরি ছেড়ে গণমাধ্যমের পেশা বেছে নেন। কিন্তু মনের কথা গণমাধ্যমে এভাবে উপস্থাপন করতে হবে তা ভাবতে পারেননি তিনি।
গত ৪ নভেম্বর নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুয়েছত্র ফারদিনের ‘লা”শ’ উদ্ধার করা হয়। তবে ”হ”ত্যা”র স্থান ও সময় নিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য থাকলেও স্পষ্ট করে কেউ কিছু বলতে পারছেন না।
যদিও এ ঘটনায় ফারদিনের বাবা নুর উদ্দিন বাদী হয়ে রামপুরা থানায় একটি ‘মা’মলা করেন। মামলায় সন্দেহভাজন বুশরাকে আটক করে পুলিশ। কারণ নিখোঁজের দিন দুপুর সোয়া ১০টা পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজে ফারদিনের সঙ্গে বুশরাকে দেখা যায়। পরে এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় গোয়েন্দা পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের পৃথক তদন্ত করছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তাদের দাবি, ‘মা”দ’কে’র কারণে ফারদিনকে ”হ”ত্যা’ করা হয়েছে। যার পেছনে চনপাড়ার রায়হান বাহিনী।
তবে প্রধান তদন্তকারী সংস্থা ডিবি এমন দাবি মানতে রাজি নয়। ফারদিন কবে কোথায় ‘খু”ন’ হন? তারা এখনও নিশ্চিত নয়। ফারদিনের ‘হ”ত্যা’কারী’দে’র চিহ্নিত করা ‘যায়নি।
দুই সংস্থার ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যে ফারদিন ‘হ”ত্যা’র রহস্য আরো গভীর হয়েছে। পিছিয়ে নেই মিডিয়াও। গত এক মাস ধরে এ ”হ”ত্যা”কা’ণ্ড নিয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন খবর প্রচার হচ্ছে।
প্রশ্ন হচ্ছে ফারদিন হত্যায় মাদকের উৎস কী? আর চরপাড়া কেন? নাকি ঘটনার পেছনে রয়েছে অন্য কোনো রহস্য।
বুয়েট ছাত্র ফারদিন ‘হ”’ত্যা”র ঘটনা চানপাড়ায় হয়েছে কি না তাও আমরা জানার চেষ্টা করেছি। জানার চেষ্টা করেছেন চানপাড়ার উন্নয়নের পেছনের গল্প।
এদিকে এ ঘটনায় ইতিমধ্যে ফারদিনের বান্ধবী বুশরাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনার কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন বুশরা। কিন্তু এ ‘হ”ত্যা’র কাণ্ডে’র পেছনে তার হাত থাকতে পারে বলে মনে করছেন পুলিশ।