নিখোঁজের তিনদিনের মাথায় গত সোমবার (৭ নভেম্বর) নদী থেকে উদ্ধার করা হয় বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃতদেহ। পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তাকে ;;হ”ত্যা”র বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই গ্রেপ্তার হন বান্ধবী বুশরা। তবে এ ঘটনায় তদন্তে এবার চাঞ্চল্যকর এ তথ্য দিয়েছে পুলিশ।
পরশকে হত্যার আগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে তারাবোর দিকে যেতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সাদা গেঞ্জি পরা ৩-৪ জন ফারদিনকে লেগুনায় নিয়ে তারাবোর দিকে যায়। লেগুনার চালক ও হেলপাকে খোঁজা হচ্ছে।
চানপাড়া বস্তিতে ফারদিনকে ‘হ”ত্যা” করা হয়েছে বলে মনে করছে না ডিবি। হারুন অর রশিদ জানান, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে পরে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এর আগে র্যাব জানায়, ফারদিনকে জোরপূর্বক জিম্মি’ করে বা ব’ন্দু’ক দে’খিয়ে চা’নপাড়া বস্তিতে নিয়ে যাওয়া হয়। ফারদিন ”হ”ত্যা”র পেছনে শীর্ষ ‘মা”দ’ক ব্যবসায়ী রায়হান চক্র কাজ করেছে। এ হ”ত্যা”’কা’ণ্ডে”র ঘটনায় রায়হানসহ বেশ কয়েকজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যে কোন সময় তাকে গ্রেফতার করা হবে।
তবে এ ঘটনার সঙ্গে বুশরা কোনো ভাবেই জড়িত নন বলে দাবিয়ে করেছেন বুশরার মা ইয়াসমিন। তিনি দাবি করেছেন, পরশ এবং বুশরা দুজনেই খুব ভালো বন্ধু। সুতরাং বুশরার পক্ষে এটা করা কোনো ভাবেই সম্ভব নয়।