বাসার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে নিখোঁজের তিনদিনের মাথায় নারায়ণগঞ্জের শীতল’ক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পর’শের মৃ’ত’দে’হ। পরিবার তার মৃ’ত্যু’কে ‘হ’ত্যা’ বলে দাবি করলেও এইটা আত্মহত্যা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আর এরই মধ্যেই ফারদিনের’ মৃ’ত্যু’র ঘটনায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রামপুরা থানায় দায়ের করা মামলায় ফারদিনের বান্ধবী ও আসামি আমাতুল্লাহ বুশরাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
সোমবার বিকেলে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে অনলাইন গণমাধ্যম বিডিনিউজ।
মোহাম্মদ ইয়াছিন শিকদার বলেন, “আমি চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছি যে, স্পেনে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় যাওয়ার জন্য বিমান ভাড়া জোগাড় করতে না পারা, টিউশনি করে পড়াশোনার খরচ জোগানোয় সংগ্রাম করতে হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে হতাশা থেকে তিনি (ফারদিন) ‘আ’ত্ম’হ’ত্যা” করেন বলে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছি।”
সাক্ষী হিসেবে মোট ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর হত্যার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি জানিয়ে এই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
এদিকে এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন ফারদিনের বাবা কাজী নুরউদ্দিন রানা। তিনি বলেন, “এ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আমি (আদালতে) নারাজি দেব।”
এর আগে নুরউদ্দিন রানার করা হত্যা মামলায় আসামির তালিকায় শুধু ফারদিনের বন্ধু আমাতুল্লাহ বুশরার নাম উল্লেখ করা হয়েছিল।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হয়ে বেশ কিছুদিন কারাগারে থাকার পর গত ১০ জানুয়ারি জামিনে মুক্তি পান।
আসামির তালিকায় থাকা বুশরাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদনও করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা ইয়াসিন শিকদার।
তবে এই মতাম’তের সঙ্গে একমত হতে পারছেন না ফারদিনের পরিবার। তাদের মোতে, এটি পরিকল্পিত ‘হ’ত্যা’। ফারদিন এমনটা কখনোই করতে পারে না বলেও দাবি করেন তারা।