নিখোঁজের তিনদিনের মাথায় গত সোমবার (৭ নভেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃ’ত’দে’হ উদ্ধার করা হলেও এখনো জানা যায়নি তার মৃত্যুর আসল কারণ। তবে এ ”হ”ত্যা”কা’ণ্ডে’র সঠিক কারণ উদ্ঘাটনে রীতিমতো কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ।
কেন বুয়েটের ছাত্র ফারদিন নূর পরশকে ;হ;’ত্যা;; করা হয়েছে তার সঠিক তথ্য এখনো পায়নি তদন্ত সংস্থা ডিবি। তবে রূপগঞ্জের চানপাড়া বস্তি ও যাত্রাবাড়ীর লেগুনা স্ট্যান্ডের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে প্রাপ্ত তথ্য তদন্তে নতুন মোড় নিতে পারে বলে মনে করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল ফারদিন ‘হ”ত্যা” মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিবি) এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তবে কে বা কারা এই ”হ’ত্যা”কা’ণ্ডে’ জড়িত, কোথায় পরশকে ”হ”ত্যা” করা হয়েছে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, নিখোঁজের দিন রাত প্রায় আড়াইটার দিকে পরশকে যাত্রাবাড়ী মোড়ে লেগুনা স্ট্যান্ডে দেখা গেছে। এ সময় তিনি সাদা গেঞ্জি পরা এক ব্যক্তির সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন। একপর্যায়ে লোকটি পরশকে নিয়ে লেগুনায় ওঠে। এ সময় লেগুনায় আগে থেকে আরো চারজন ছিলেন। পরে লেগুনাটি সুলতানা কামাল সেতুর উপর দিয়ে এগিয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে প্রশ্ন উঠেছে, রাত আড়াইটায় চাঁনপাড়া বস্তিতে কীভাবে এলেন ফারদিন। বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে মামলার বাদী কাজী নূর উদ্দিন রানার সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। পরশের বিষয়ে জানতে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা তাকে ডিবিতে ডেকে পাঠান।
এদিকে ফারদিনের মৃ’ত্যু’র ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে বান্ধবী বুশরাকে। রিমান্ড শেষে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।