বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃ”’ত্যু’ নিয়ে যেন শেষ নেই জল্পনা-কল্পনার। নিখোঁজের তিনদিনের মাথায় গত ৭ নভেম্বর শীতল’ক্ষ্যা নদী থেকে তার ‘মৃ”তদে’হ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তার মৃত্যু নিয়ে পুলিশের দাবি, ফারদিন ‘হ”ত্যা”র শি’কার নন, বরং তিনি স্বে’চ্ছা’য় আ”ত্ম’হন’ন করেছেন।
ঘটনাটির ছায়া তদন্তকারী সংস্থা র্যাবও বলেছে, ফারদিন ”আ”’ত্ম’হ”’ত্যা’ করেছেন। র্যাব-পুলিশের দাবির সঙ্গে তাৎক্ষ’ণিকভাবে একমত পোষণ করতে পারেনি ফারদিনের বাবা নূরউদ্দিন রানা ও তার সহপাঠীরা।
কিন্তু পরে র্যাব ও ডিবি বুয়েটের শিক্ষার্থীরা এই দাবির পক্ষে বিভিন্ন প্রমাণ দেখায়। ফারদিনের সহপাঠীরা জানান, তারা সন্তোষজনক উত্তর পেয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় বুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা এসব কথা বলেন।
বুয়েটের শিক্ষার্থীরা জানান, সাক্ষাৎকারের সময় আমরা তাদের (র্যাব ও ডিবি) প্রধানত পাঁচটি প্রশ্ন করি। তারা যে প্রমাণ এবং তথ্য উপস্থাপন করেছে তা আমাদের প্রশ্নের উত্তর মোটামুটি সন্তোষজনকভাবে দিয়েছে। তাদের তদন্ত বা তারা যে তথ্য দেখিয়েছে তাতে সন্দেহ করার মতো আর কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।
এ কারণে ফারদিনের মৃত্যুতে ঘোষিত কর্মসূচি স্থগিত করে ফারদিনের সহপাঠীরা বলেন, ফারদিনের মৃত্যু নিয়ে আমাদের আপাতত অন্য কোনো কর্মসূচি নেই। ফারদিনের পরিবার যুক্তিসঙ্গত কিছু দাবি করলে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াব। কিন্তু এ ব্যাপারে আমাদের আর সন্দেহ বা প্রশ্নের কোনো উপাদান নেই। ভবিষ্যতে নতুন কোনো তথ্য এলে বিষয়টি নিয়ে আবার আলোচনা করব।
গত ৪ নভেম্বর রাতে বুয়েটের ছাত্র ফারদিন তার বান্ধবী বুশরাকে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় বাসায় যেতে বলেন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এরপর ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার ‘লা”শ’ উ’দ্ধা’র করে পুলিশ। এ ঘটনায় গত ৯ নভেম্বর রাতে ফারদিনের বাবা বাদী হয়ে বুশরাসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে ডিএমপির রামপুরা থানায় মামলা করেন।
এরপরই বান্ধবী বুশরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এই মুহূর্তে কারাগারেই রয়েছেন তিনি। তবে যেহেতু পুলিশের দেয়া প্রমানের ভিত্তিতে বুশরা নির্দোষ, সেহেতু তার মুক্তির দাবি করেছেন অনেকেই।