Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / বুয়েটের ফারদিনের ঘটনায় এবার ভিন্ন তথ্য দিলেন ডিবি প্রধান

বুয়েটের ফারদিনের ঘটনায় এবার ভিন্ন তথ্য দিলেন ডিবি প্রধান

র‍্যাবের দাবি, নারায়ণগঞ্জের চানপাড়া বস্তি এলাকার ভেতরেই বুয়েটের মেধাবী ছাত্র ফারদিন নূর পরশ খু”/ন হয়েছেন, কিন্তু ডিবির পক্ষ থেকে বলা হলো ভিন্ন কথা। মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ যিনি ডিবি প্রধান হিসেবে রয়েছেন তিনি ঘটনার বিষয়ে বলেন, ফারদিনকে চনপাড়ায় নিয়ে সেখানে বেশ কয়েকজন মিলে খু”/ন করা হয়েছে, এমন তথ্য সঠিক এমনটা বলে মনে হচ্ছে না। ফারদিন রাত আড়াইটায় চনপাড়ায় গিয়েছিল এমন ধরনের কোনো যুক্তি নেই।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ডিবি প্রধান বলেন, ঘটনার দিন চারজন ফারদিনকে যাত্রাবাড়ী থেকে লেগুনায় তারাবোতে নিয়ে যায়। তাকে সুলতানা কামাল সেতু হয়ে বিশ্বরোডের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।

তিনি বলেন, সাদা গেঞ্জি পরা এক ব্যক্তিকে লেগুনার মধ্যে তাকে তুলতে দেখা গেছে। এ ঘটনায় লেগুনার চালককে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। হারুন বলেন, ফারদিনের রাত আড়াইটার সময় চনপাড়ায় যাওয়ার কথা নয়। কোনো প্রলোভন দেখিয়ে তাকে হয়তো লেগুনায় তোলা হয়েছিল।

এর আগে গত ১৫ নভেম্বর র‍্যাব সদর দফতরে সাংবাদিকদের সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘পরশ হ”/ত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করতে না পারলেও খু”নের সাথে জড়িত তাদের কয়েকজনকে আমরা শনাক্ত করেছি। ” তার হ”/ত্যাকাণ্ডে রায়হান চক্রের জড়িত থাকার সন্দে’হ রয়েছে। রায়হানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সে চনপাড়ায় নিষিদ্ধ দ্রব্যের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখনো এ বিষয়ে কিছু বলার মতো অবস্থায় নেই। পরশ বড় হয়েছে চানপাড়া থেকে বেশি দূরে নয়। এটা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। চনপাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে তা নিশ্চিত। যাদের নাম আসছে- তাদের সবাইকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

গত ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুয়েট ছাত্র ফারদিন পরশের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় অনেক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

ঘটনার পর পরশের বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে একাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বেকায়দায় পড়েছে। কিভাবে ফারদিনের নিথর দেহ শীতলক্ষ্যায় এলো, কারা পরশকে নিথর করলো- এসব রহস্যের জট উন্মোচন করতে গিয়ে ক্লুলেস মামলার তদন্তে নেমেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

একটি সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের কাছে এসেছে যেখানে পরশকে তার বান্ধবী বুশরার সঙ্গে রামপুরা এলাকায় একটি রিকশায় দেখা গেছে। ফারদিনের বান্ধবী বুশরাকে পরশের বাবা এই ঘটনার মামলায় এক নম্বর আ’সামি করেছেন। তাকেও গ্রে’ফতার করা হয়েছে এবং তিনি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তাকে রিমান্ডে নেওয়ার পর ঘটনার নানা দিক নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। বুশরার কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় জড়িত থাকার তেমন কোনো প্রমাণ পায়নি পুলিশ, এমনটি জানা গেছে।

About bisso Jit

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *