বাংলাদেশের বর্তমানে টক অব দ্যা টাউন একটি আর তা হলো বুয়েটের ফারদিন। সম্প্রতি খুব শোচনীয় ভাবে প্রাণ হারিয়েছে বুয়েটের মেধাবী ছাত্র ফারদিন পরশ নূর। আর এ নিয়ে এখন সারা দেশে চলছে নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনা। জানা গেছে মৃত্যুর পরে তাকে বার বার মাদকসেবনকারীর তকমা দেয়া হচ্ছে।এবার এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি ফেইসবুক লেখনী লিখেছেন জুলকারনাইন সায়ের। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে;এ ধরা হলো হুবহু:-
অজ্ঞাত গোষ্ঠীর হাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার বুয়েটের ছাত্র ফারদিন নূর’কে যেভাবে মাদকসেবনকারীর ট্যাগ দেয়া হচ্ছে ও বিভিন্ন গণমাধ্যম ফলাও করে প্রচার করছে যে ছেলেটি সারা-রাত ঘুরে মাদকদ্রব্য কেনার চেষ্টা করেছে ও দরদামের বনিবনা না হওয়ায় মাদকব্যবসায়ীরা নাকি তাকে পিটিয়ে মেরে নিথর দেহ শীতলক্ষ্যায় ফেলে দিয়েছে।
তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ফারদিনকে মাদকাসক্তের তকমা দেয়ার আগে সামরিক তদন্তের গোপনীয় এই নথিটি পড়ুন, জানতে পারবেন কারা প্রকৃতভাবে মাদকসেবন করছে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর ইন্টেলিজেন্স উইং এর দুই কর্মকর্তা মেজর ফজলে রাব্বি ও মেজর রাইয়ান আজাদ সস্ত্রীক নিয়মিত “আইস” নামক মাদকসেবন করতেন। বিবাহিত হওয়া সত্বেও মাদকসেবন করে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন এবং নিষিদ্ধ মাদকসেবনের কারনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হতে প্রেষণে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নে কর্মরত এই দুই অফিসারকে সম্প্রতি চিহ্নিত করে আর্মি সিকিউরিটি ইউনিট বা এএসএউ।
বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাবের সবচাইতে স্পর্শকাতর শাখা এই ইন্টেলিজেন্স উইং। আর সেই শাখার দু’জন পদস্থ কর্মকর্তা নিয়মিত মাদক সেবনকরার কারনে তদন্তনাধীন আছেন সেটা নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করার মত স্পর্ধা কি আপনাদের আছে? আপনারা কি পারবেন এটা অনুসন্ধান করতে যে, যাদের কাজ মাদক সরবারহ ব্যবস্থা ধ্বংস করা তারা কিভাবে মাদকাসক্তে পরিনত হলো তা নিয়ে প্রতিবেদন করতে?
নাহ পারবেন না, পারলেও আপনাদের এ বিষয়ে কোন অনুসন্ধান বা সংবাদও প্রচার করতে দেয়া হবেনা।
দুর্বলের কাঁধে ভর দিয়ে আর কতদিন? ফারদিন মারা গেছেন, তার চরিত্রের ব্যবচ্ছেদ কোনভাবেই জনগুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু এই দুই ব্যক্তি কেন জনগুরুত্বপূর্ণ সেটা নিশ্চই আমার, আপনাদেরকে বুঝিয়ে বলতে হবেনা।
যদি কেউ এ বিষয়ে প্রতিবেদন করতে আগ্রহী হন, অনুগ্রহ করে আমার সাথে ইমেইলে যোগাযোগ করবেন, পুরো ডকুমেন্টটিই পাঠিয়ে দেবো।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ৩ তারিখ রাট থেকে নিখোঁজ হয় ফারদিন। এরপর তিন দিন পরে খোঁজ মেলে তার। তবে তার দেহে সেসময়ে ছিল না প্রাণ। আর এই ঘটনায় ফারদিনের বাবা মামলা করে থানায়। সেই মামলার জের ধরেই পুলিশ এখন তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।