সম্প্ৰতি বাংলাদেশে চালু হয়েছে মেট্রোরেল। আর এই মেট্রোরেল নিয়ে আবারো ঘটেছে নতুন এক ঘটনা। মূলত বাংলাদেশে নতুন কিছু উদ্বোধন হলে সেখানে বাচ্চা প্রসব যেন ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এ থেকে বাদ যায়নি মেট্রোরেলও। এবার এই বিষয় নিয়ে একটি লেখনী লিখেছেন আব্দুন নূর তুষার। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে ধরা হলো হুবহু:-
প্রথমবার মা হবার সময় প্রসবব্যাথা থেকে সন্তান জন্মদান পর্যন্ত কমপক্ষে চার থেকে আট ঘন্টা সময় লাগে। এটা ক্ষেত্র বিশেষে ১৩ ঘন্টা বা তার বেশিও হয়। প্রতি ঘন্টায় সার্ভিক্স বা জরায়ুমুখ এক সেনটিমিটার করে খুলতে থাকে।
উত্তরা থেকে আগারগাঁওয়ে আসতে লাগে দশমিনিট।
আগারগাঁওয়ে প্রসূতিদের জন্য আছে কেবল শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল। এর চেয়ে উত্তরাতে ঢের বেশি হাসপাতাল আছে।
তাই বুঝতেই পারছেন মেট্রোরেলে প্রথম সন্তান জন্ম দিতে গেলে সময় হিসাব করে উঠতে হবে। একেবারে শেষ আধা ঘন্টায় রেলে উঠতে হবে।
যাই হোক ; উন্নয়নের পথে পথে সন্তান জন্মদান একটি ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা দেশের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখছি না। সর্বত্র সন্তান জন্মদান চলবে।
হেডলাইন হয়; মেট্রোরেলে প্রথম শিশুর জন্ম। যেনো এই আধা লাইন চারঘন্টা চলছে আরো শিশু জন্ম দেয়ার জন্য।
এসব ডাইভার্সন নিউজ মানুষ বোঝে।
প্রোবাবিলিটির অংক করলে দেখবেন মাত্র চারঘন্টা চলে ও একেক যাত্রায় মাত্র পনেরো মিনিট লাগে এমন যানবাহনে যদি দু সপ্তাহের মধ্যে একটি সন্তান হয় তবে ঢাকার ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামের মধ্যে প্রতিদিন কয়েক ডজন বাচ্চা রাস্তায় হবার কথা। সেটা কি হচ্ছে?
আর ঠিক সেইসময় জায়গামতো মিডওয়াইফ আর ডাক্তার হাজির থাকা। স্ট্যাটিসটিকসে এটার প্রোবাবিলিটি কত?
যাইহোক মেট্রোরেলে একটি প্রসব বগি যুক্ত করলে হাসপাতালে যাওয়ার ও পয়সা খরচের ঝামেলা কমতো।
প্রসঙ্গত, এ দিকে মেট্রোরেল এ জন্ম নেয়া ওই সন্তান এবং ওই নারীকে নিয়ে এখন হচ্ছে অনেক আলোচনা। অনেকেই আবার বলছেন তারা হয়েছেন ইতিহাসের সাক্ষী। তবে অনেকেই আবার বিষয়টিকে দেখছেন না একেবারেই ভালো চোখে।