বিএনপির বহুল আলোচিত-সমালোচিত নেতা কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জনের মনোনয়ন বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।
রোববার দুপুরে যাচাই-বাছাই শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ তার মনোনয়ন বাতিল করেন। তিনি বলেন, হলফনামায় মামলার তথ্য ও ব্যাংক ঋণের তথ্য গোপনের কারণে আখতারুজ্জামান রঞ্জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষের সামনের বারান্দায় তাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন গণমাধ্যমকর্মীরা।
এ সময় তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, মনোনয়নপত্র বাতিলের আপিল করবেন কি না। আখতারুজ্জামান বলেন, আপিল করব কিনা সেটা তো দলের সিদ্ধান্ত। দল যদি বলে করব। আমি বিএনপি করি, বিএনপি করতাম, সারা জীবন বিএনপি করব।
আপনি তো বিএনপি থেকে মনোনয়ন তুলেন নাই বা বিএনপি তো নির্বাচনে যাচ্ছে না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি রেগে গিয়ে বলেন, আপনি কে বলার- আমি বিএনপি কিনা? আপনি কে?
আপনি তো স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়ন তুলেছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি স্বতন্ত্র, দলের সঙ্গে প্রতিবাদ করে, কি বলেছি সাংবাদিক সাহেব- বুইজ্জা প্রশ্ন করবেন। আননেসেসারি লিডিং প্রশ্ন করবেন না। আমি বলেছি স্বতন্ত্র করেছি। কথা শুনেন নাই এটা। কী সাংবাদিকতা করেন, কী সাংবাদিকতা করেন কথা না জেনে কথা বলেন।
আপনি তো দলের প্রার্থী না, তো দল বললে আপিল করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আরে বাবা আমি দলের প্রার্থী না কখনো বলেছি? আমি তো এখনো বলছি দল বললে।
আপনি তো স্বতন্ত্র প্রার্থী- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রার্থীর সঙ্গে দলের সম্পর্ক কী? আমি প্রার্থিতা করেছি দলের সঙ্গে প্রতিবাদ করে। এখন যদি দল বলে করো না!
আপনার মনোনয়নপত্র বাতিলের পেছনে ষড়যন্ত্র নাকি অন্য কিছু দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র কী, আমার কাগজপত্র বৈধ নয়- এখানে ষড়যন্ত্র বলে কিছু দেখছেন না তিনি।
আপনি একজন সাবেক সংসদ সদস্য হিসেবে আপনার কাগজপত্র সঠিক করে দাখিল করার কথা ছিল- এমন প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, গত পাঁচ বছর পর্যন্ত আমার নামে কোনো মামলা-মোকদ্দমা নাই। নির্বাচনি আইনের মধ্যে লেখা আছে পাঁচ বছরেরটা দরকার। পাঁচ বছরের বাইরেরটা তো লেখার দরকার নাই। ব্যাংকে আমার চারটার মধ্যে তিনটা অ্যাকাউন্ট আছে, আমাদের সাসপেন্ড করা আছে- ঠিক আছে।