বিয়ে-জন্মদিনের মত সামাজিক অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি অতিথি আপ্যায়নে হোটেল, রেস্তোরাঁ বা কমিউনিটি সেন্টার বুকিং দেওয়া হলে অতিথি প্রতি ৫০ টাকা হারে অগ্রিম আয়করের প্রস্তাব দিয়েছে ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) পেশ করা বাজেট প্রস্তাবে তারা বলেছে, যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে, বিয়েবাড়িতে ১০০ জনের বেশি অতিথিকে আপ্যায়ন করার জন্য হোটেল, রেস্তোরাঁ বা কমিউনিটি সেন্টার বুক করার আগে অতিথি প্রতি ৫০ টাকা হারে অগ্রিম আয়কর দিতে হবে। ব্রাইডাল শাওয়ার, জন্মদিন বা বিবাহ বার্ষিকী ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ছাড়া অন্য। বিধান করা যেতে পারে। তারা আরও উল্লেখ করেছেন যে, এখন পর্যন্ত এসব ক্ষেত্রে অগ্রিম আয়করের কোনো বিধান ছিল না।
যৌক্তিক হিসেবে সংগঠনটি বলেছে, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করদাতাদের আয়করের নথিপত্র নেই তাদের আয়করের আওতায় আনা সম্ভব হবে। ফলে কর আদায় বাড়বে। যাদের আয়কর নথি রয়েছে তারা অতিরিক্ত করের বোঝার সম্মুখীন হবেন না কারণ তারা প্রদত্ত অগ্রিম আয়করের ক্রেডিট নিতে পারেন। কোন বা কম করযোগ্য আয় না থাকলে অতিরিক্ত পরিমাণ ফেরতযোগ্য।
আইসিএমএবি প্রতিনিধি দলের সদস্য সৈয়দ আবদুর রহমান খান বলেন, দেশের কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে হলে করের পরিধি বাড়াতে হবে। সেই লক্ষ্যেই তারা এই প্রস্তাব দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের অনেক মানুষ ট্যাক্সের আওতাভুক্ত না হলেও অনেক টাকা খরচ করে, মূলত তাদের কিছুটা করের আওতায় আনার জন্যই এই প্রস্তাব। কেউ আবার ডাবল ট্যাক্স দিলে পরে তা সমন্বয় করতে পারবে। দেশে এমন অনেক সামাজিক অনুষ্ঠান আছে, সেসব ঘটনার কথা চিন্তা করে আমরা এই প্রস্তাব করেছি।
আইসিএমএবি দেশের প্রবীণ নাগরিকদের ছাড় দেওয়ারও প্রস্তাব করেছে, যাদের আয়ের উৎস শুধুমাত্র পেনশন এবং সঞ্চয়পত্রের সুদ, আয়কর রিটার্ন দাখিল করা থেকে। ন্যায্যতা হিসেবে তারা বলেন, যাদের একমাত্র আয় পেনশন এবং সঞ্চয়পত্রের সুদ, তাদের রিটার্ন দাখিল করলেও অতিরিক্ত আয়কর দিতে হবে না। কারণ, পেনশন সম্পূর্ণ করমুক্ত এবং সঞ্চয়পত্রের সুদের উপর উৎসে আয়কর কাটা হয়, এটাই চূড়ান্ত আয়কর। সে জন্য, বয়স্ক করদাতাদের তাদের মতো অপ্রয়োজনীয় রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়া প্রয়োজন।