দুটি মানুষের পারস্পারিক ভালো লাগার মাধ্যমেই তৈরি হয় ভালোবাসা আর সেই ভালোবাসা রুপ নেয় বিয়েতে। বিয়ে করা একটি অত্যন্ত ভালো কাজ। যুবক-যুবতী একটি নির্দিষ্ট বয়সে পৌছালে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে থাকে। সম্প্রতি জানা গেছে স্বামীর টাকায় স্ত্রীর পরিবার ওমরাহ পালনের কয়েক সপ্তাহ পর হয়ে গেল ছাড়াছাড়ি।
গত মে মাসে তিনি ১৯ বছরের এক তরুণীকে বিয়ে করেন। ধনী বৃদ্ধের বয়স ৬৫ বছর। এমন অসম বিয়ের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
কিন্তু বিয়ের মাত্র দুই মাসের মাথায় সংসার ভেঙে যায়। ৬৫ বছর বয়সী এই ব্যক্তি বিয়ের সময় প্রায় ১,৫০,০০০ রিঙ্গিত যৌতুকও দিয়েছিলেন। মালয় মেইলের খবর। ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দৈনিক কম্পাস জানিয়েছে যে ৬৫ বছর বয়সী হাজি সোন্দানি ১৮ মে দেশটির পশ্চিম জাভাতে ১৯ বছর বয়সী ফিয়া বারলান্টিকে বিয়ে করেছিলেন। এত বড় অঙ্কের যৌতুক দিয়ে কনেকে বাড়ি ও গাড়ি কিনে দেন সোনাদানি।
দুজনের বয়সের পার্থক্য ৪৭ বছর। তাই তাদের বিয়ের পর তা অনলাইনে তুমুল আলোচনার জন্ম দেয়। বিয়ের অনুষ্ঠানও হয় বেশ আড়ম্বরে। বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে ওমরাহ করতে মক্কায় গিয়েছিলেন সোনাদানি। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন ফিয়ার পরিবারের সদস্যরা। তাদের যাবতীয় খরচ বহন করে সোনাদানি।
৩ আগস্ট এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এই দুজনের বিবাহবিচ্ছেদের খবর নিশ্চিত করা হয়।বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বিয়ের দুই মাস পর তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়।
খবরটি প্রকাশের সাথে সাথে অনলাইন ব্যবহারকারীরা সোনাদানি এবং ফিয়ার প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তবে কী কারণে এই দম্পতি আলাদা হয়েছিলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রসঙ্গত, প্রতারণা করা খুব খারাপ একটি কাজ। বিশ্বাস যখন একবার ভেঙ্গে যায় তখন শত চেষ্ঠা করেও সেই বিশ্বাস আর ফিরিয়ে আনা যায় না। কিছু খারাপ মনের মানুষ অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এসে অন্যের জীবন একেবারে তছনছ করে দিয়ে যায় মুহূর্তেই।