বিশেষ এই দিনটিকে স্মরনীয় করে রাখতে অনেক আগে থেকেই সবকিছু ভেবে রেখেছিলেন মিরাজ শেখ। আর সেই ধারাবাহিকতায় শুভদিন আসতেই রীতিমতো সবাইকে চমকে দিয়ে সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে উঠে এলেন তিনি। তবে এর পেছনে অন্যতম একটি কারন বাবার ইচ্ছা, আর বাবার সেই ইচ্ছা পূরন করতেই এমন একটি কাণ্ড ঘটিয়ে বসেছেন তিনি।
জানা গেছে, বর-কনের বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গঙ্গারামপুর ও উত্তর গঙ্গারামপুর গ্রামে। আর এই দুটি গ্রামকে বিভক্ত করেছে মধুমতি নদীর এমবিআর চ্যানেল। তাদের বাড়ি মাত্র ৩০০ মিটার দূরে। এরপরও বাবার ইচ্ছা পূরণে হেলিকপ্টারে করে নদীর ওপারে বিয়ে করতে যান বর মিরাজ শেখ। যা এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
জানা গেছে, রবিবার (১৬ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার দক্ষিণ গঙ্গারামপুর গ্রামের তোয়াজ শেখের ছেলে মিরাজ শেখের সঙ্গে একই উপজেলার উত্তর গঙ্গারামপুর গ্রামের আজাদ খন্দকারের মেয়ে আফরিন আক্তারের বিয়ে হয়।
তবে বাবার ইচ্ছা পূরণে ঢাকা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় একটি হেলিকপ্টার আনা হয়। কনের বাড়ি ৩০০ মিটার দূরে থাকলেও ফ্লাইট সুবিধা ও অন্যান্য কারণে প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে কনের বাড়ির পাশে হেলিকপ্টারটি অবতরণ করে। ভাইবোনদের নিয়ে হেলিকপ্টার থেকে নামলেন বর মিরাজ। আর গাড়িতে করে দুই হাজার বরযাত্রী কনের বাড়িতে যায়। বিয়ে শেষে স্ত্রীকে নিয়ে হেলিকপ্টারে বাড়ি ফিরেছেন বর মিরাজ শেখ।
হেলিকপ্টারটি গ্রামে নামার পর শত শত উৎসুক গ্রামবাসী বর ও হেলিকপ্টার দেখতে ভিড় জমায়। এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় বিয়ে।
উত্তর গঙ্গারামপুর গ্রামের শাহজাহান মিয়া বলেন, এটি আমাদের এলাকায় একটি ব্যতিক্রমী বিয়ে হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বর-কনের আতিথেয়তায় আমরা মুগ্ধ।
বর মো. মিরাজ শেখ বলেন, বিয়ে জীবনে একবারই হয়। এছাড়া বাবার ইচ্ছা পূরণের কথাও বলা হয়। তাই ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় হেলিকপ্টার ভাড়া করে বিয়ে করতে গিয়েছিলাম।
এদিকে মিরাজ শেখের বিয়ে নিয়ে প্রথমত গ্রমবাসীরা ভেবেছিলেন, সাধারণত তার বিয়েতে ঝাকজমক অনুষ্ঠান হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে কেউ ভাবতেই পারেননি যে, তার বিয়েটা আসলে একটি চমক হতে চলেছে। তবে যাই হোক, পরিবারের পাশাপাশি মিরাজের বিয়েতে রীতিমতো খুশি সকলেই।