দাম্পত্য কলহের জের ধরে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর গত ৭ দিন আগেই দ্বিতীয়বারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসেন রানা হাওলাদার নাম এক তরুণ। নতুন দাম্পত্য জীবনে বেশ ভালোই কাটছিল তাদের সংসার। কিন্তু এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই ঘটে দুজনের মধ্যেই ঘটে যায় এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা।
জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার রানা কনেকে নিয়ে মিরপুরের বাসা থেকে বের হন। রাজধানীর রামপুরা এলাকায় যান।
রানা রামপুরা এলাকায় গিয়ে কনেকে এক জায়গায় বসতে বলেন। এরপর ই”য়া”বা” বিক্রি করতে গিয়ে হাতিরঝিল থানা পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি। পুলিশের দাবি, রানা একজন রিকশাচালক। এ পেশার আড়ালে ৮ বছর ধরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ”ই’য়া”’বা” সরবরাহ করে আসছে।
বুধবার সকালে তেজগাঁওয়ের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচএম আজিমুল হক নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রানা হাওলাদারের বাঁ হাতের নিচের অংশ কেটে ফেলা হয়। এরপর প্লাস্টিকের হাত লাগানো হয়। ওই প্লাস্টিকের হাতের ভেতরে রেখে কৌশলে পাচার করতেন রানা।’
আজিমুল হক বলেন, এটি একটি নতুন কৌশল। আপনি জানেন এই ধরনের লোকেরা মানুষের সহানুভূতি পায়। সেই সুযোগটাই কাজে লাগালেন রানা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাতে পশ্চিম রামপুরার ওমর আলী লেন এলাকা থেকে হাতিরঝিল থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। রানার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে ডিসি আজিমুল হক আরো জানান, তার বিরুদ্ধে থানায় মোট তিনটি মামলা রয়েছে। সে বিভিন্ন অজুহাতে এ ধরণের অন্যায় কাজ করে আসছিল। অনেকদিন ধরেই তাকে অনুসরণ করে আসছিল পুলিশ।