প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে অনেক তরুণ-তরুণী নিজের সর্বস্ব খুইয়েছেন। খারাপ মেয়ের পাল্লায় পড়ে যেমন একজন পুরুষ নষ্ট হয়ে গেছে, তেমন খারাপ পুরুষের পাল্লায় পড়ে একটা মেয়ের সবথেকে দামি জিনিসটা হারিয়েছে। এমনই ঘটনা ঘটেছিল বানেশ্বর ইউনিয়নের এক তরুনীর সাথে। তবে সে হার না-মেনে ওই ছেলের বাড়িতে এসে অনশন শুরু করে।
অনশনরত অবস্থায় কিশোরী প্রেমিকাকে বিয়ে করলেন এক তরুণী। শুক্রবার (১২ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর ইউনিয়নের চক ধাদাস এলাকায় স্থানীয় এক কাজী তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা করেন।
বর সিজানুর রহমান (১৫) চক ধদাশ গ্রামের লতিফুরের ছেলে মো. কনে সোনিয়া খাতুন (১৯) একই উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের ভাড়া গ্রামের বাবুল আলীর মেয়ে। প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
এলাকাবাসী জানায়, তিন বছর আগে সোনিয়া চক ধাদাস এলাকায় তার খালার বাড়িতে বেড়াতে আসে। সেখানে তার প্রেমে পড়ে সেজানুর। মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে সিজানুরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর তারা নিয়মিত মোবাইলে কথা বলত। এক পর্যায়ে দুজনে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তারা একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কেও জড়িয়েছে।
তরুণী বলেন, আমাদের মধ্যে সাড়ে তিন বছরের সম্পর্ক। আমরা বিয়ে করতে যাচ্ছি বলে অনেকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছি। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ছেলের বাসায় গিয়ে অবস্থান নিই।
এদিকে খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশ আসে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানের কথা বলে পুলিশ সদস্যরা চলে যায়। পরে গ্রামের মাতবররা দুই পক্ষ নিয়ে বসেন। সেখানেই তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
সালিশে উপস্থিত ছিলেন বেলপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড সদস্য লতিফুল মো. তিনি বলেন, ১ লাখ ২০ হাজার টাকা যৌতুকের ভিত্তিতে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। ওই রাতে স্থানীয় কাজীকে ডেকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়।
বেলপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, ওই তরুণী বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। এ বিষয়ে কথা বলতে দুই পরিবারের সদস্যদের থানায় আসতে বলে পুলিশ আসে। এরপর কী হয়েছে তা তারা বলেনি।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ককে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের রূপ দিতে অনশন করে ওই তরুণী। তার অন্বেষণ সফলতা পেলেও যাকে সে ভালোবেসে বিয়ে করেছে সে তার প্রতি দুর্বল নয় বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসীর অনেকে। তারা মনে করছেন যদি ওই ছেলে ওই মেয়েকে সত্তিকারের ভালোবাসতো সে ক্ষেত্রে কখনোই সে পালাতে চাইত না এবং প্রথম পর্যায় ওই মেয়েকে অস্বীকার করতো না।