বিদ্যা সিনহা সাহা মীম। বাংলা চলচ্চিত্রের তুমুল জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী ও মডেল। তবে পর্দায় ‘মীম’ নামেই দর্শকদের মাঝে অধিক পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। বড় পর্দার পাশাপাশি ধারাবাহিক নাটকেও অভিনয় করে কোটি কোটি দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। তবে জীবনে অনেক সময় নানা অনাকাঙ্খিত ঘটনার শিকার হতে হয়েছে গুণী এই অভিনেত্রীকে।
সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি জানান, তাকে নিয়ে অনেক নোংরা পলিটিকস হয়েছিল। একজন ছিলেন এ ব্যাপারে এগিয়ে। তিনি অবশ্য ওসবে মাথা ঘামাননি। চলচ্চিত্র বাদ দিয়ে নাটকে অভিনয়ে ব্যস্ত হন। নিজের মতো করে কাজ করেন।
তিনি বলেন, আজ আমি কোথায় আর তিনি কোথায়। এখন তো আমি চলচ্চিত্রে সমানতালে কাজ করছি।
বলিউডের একটি সিনেমা ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন,
আমি কিন্তু মোটেও ইচ্ছে করে এমনটা করিনি। গল্পের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারার কারণে এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
তবে বলিউডের সিনেমা ফিরিয়ে দেওয়ায় কেউ কেউ তাকে ভবিষ্যতে বলিউডে কাজ করাটা টাফ হবে বলে জানান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি তা মোটেও বিশ্বাস করি না। আমি শুধু আমার না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছি, গল্প বা অন্য কিছু তো কাউকে বলিনি। ভারতের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু আমি আর বিষয়টি নিয়ে কথা বাড়াতে চাইনি। তবে আমি মনে করে, বলিউডে যদি নেক্সট কোনও গল্পে আমাকে দরকার পড়ে অবশ্যই তারা যোগাযোগ করবেন।
বিয়ে নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে এই নায়িকা বলেন, বিয়ে করার বিষয়টি অফিশিয়ালি বলার সময় এখনো আসেনি। তাছাড়া আমার কোনও বয়ফ্রেন্ডও নেই যে তাকে নিয়ে কথা বলব। তবে একটা কথা বলে রাখি, বিয়ে করলে একবারই করব। দু-তিন বিয়ের পক্ষে আমি নেই। তাই তো বুঝেশুনে সময় নিয়ে বিয়ের কাজ সেরে নিতে চাই। তবে পরিবারের সবাই চাইছে, আমি যেন বিয়েটা সেরে নিই।
তাহলে কেন করছেন না- এমন প্রশ্নের উত্তরে মিম বলেন, কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় নিজেকেই তো সময় দিতে পারি না। নিজেকে সময় দিতে না পারলে তো পরিবার নিয়ে ভাববার সময় পাব কি না, তা তো জানি না। সিনেমার শুটিং, বিভিন্ন পণ্যের প্রচারণার কাজ, মডেলিং—এত কাজের মধ্যে বিয়ে করার সময় কই।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে ‘আমার আছে জল’ নামক একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় আগমন করেন বিদ্যা সিনহা মিম। মডেলিংয়ের মধ্যদিয়ে মিডিয়ায় যাত্রা শুরু করলেও পর্দায় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সবার নজরে আসেন তিনি। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্য রয়েছে-‘আমার প্রাণের প্রিয়া’, ‘আমি তোমার হতে চাই’, ‘সুলতান: দ্য সেভিয়ার’, ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’, ‘তারকাঁটা’, ইত্যাদি।