ঢালিউডের একসময়ের জনপ্রিয় লাস্যময়ী অভিনেত্রী পূর্ণিমা বর্তমান সময়ে সিনেমায় অভিনয় থেকে কিছুটা দূরে রয়েছেন। তিনি বিয়ের পর এবং বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের জন্য সিনেমা থেকে দূরে সরে ছিলেন। জানা যায়, বছর তিনেক আগে তার প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। সেই বিচ্ছেদের পর ফের বিয়ের পিড়িতে বসলেন অভিনেত্রী পূর্ণিমা। তার বিয়ে নিয়ে সাবেক স্বামী আহমেদ জামাল ফাহাদ বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ খবর ছড়িয়ে যায়, ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পূর্ণিমা বিয়ে করেছেন। হঠাৎ বিয়ের খবরে ফে”সবু’কে নতুন আলোচনার সৃষ্টি হয় ঢালিউডের এই তারকাকে নিয়ে। আশফাকুর রহমান রবিনের সাথে পূর্নিমার বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর তার সাবেক স্বামীকে অনেকেই ফোন করেন এবং ক্ষুদে বার্তা পাঠান। পূর্ণিমার এই বিয়ে নিয়ে কল ও টেক্সট মেসেজ তার পছন্দ হয়নি। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফে”সবুকে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে একটি পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানে তিনি লিখেছেন, পূর্ণিমার বিয়ের খবর তিনি জানেন।
এদিকে নতুন জীবন শুরুর ঘোষণা সামনে আসতেই অভিনেত্রী পূর্ণিমার জন্য শুভকামনা জানাতে ভোলেননি সাবেক স্বামী আহমেদ ফাহাদ জামাল। বিয়ের খবর প্রসঙ্গে ফাহাদ লিখেছেন, ‘খবরটা আমিও শুনেছি। দয়া করে টেক্সট করা এবং আমাকে কল করা বন্ধ করুন। এটা মানুষের জীবনে ঘটতে পারে। আমার সাথে খবর শেয়ার করার দরকার নেই। তার (পূর্ণিমা) জন্য শুভকামনা। আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন।
আশফাকুর রহমানের সঙ্গে এটি পূর্ণিমার দ্বিতীয় বিয়ে। ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর আহমেদ জামাল ফাহাদের সঙ্গে পূর্ণিমার বিয়ে হয়। ২০১৪ সালে তিনি একটি কন্যা সন্তানের মা হন। জানা যায়, তিন বছর আগে পূর্ণিমার বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
এদিকে গণমাধ্যমকে দেওয়া পূর্ণিমার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে একটি অনুষ্ঠানে বা একটি নাটকের শুটিং চলাকালে আশফাকুর রহমানের সঙ্গে তার প্রথম পরিচয় হয়। সে সময় তিনি (রবিন) অন্য একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। ওই কোম্পানিতে অনেক অনুষ্ঠান হতো। অনুষ্ঠানে রবিন তার অধীনে থাকা ব্র্যান্ডগুলো দেখতেন। সঙ্গীতশিল্পী, ক্রিকেটারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের তারকাদের সঙ্গে ছিল তাদের কাজ। আমিও একসাথে অনেক কাজ করি। সেখান থেকেই শুরু হয় কথাবার্তা। আমরা কথা বলার এক পর্যায়ে, আমাদের মধ্যে ভালো বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
পূর্ণিমা বলেন, পূর্ণিমা বলেন আসলে সে ছেলে হিসেবে খুবই ভালো এবং সে আপাদমস্তক একজন ভালো মানুষ। তাকে জীবনের সব দিকের সবকিছু বলা যায়। সকল ক্ষেত্রেই তার উপর বিশ্বাস রাখা যায়। আমরা কাজ করতে গিয়ে যার যার নিজের জায়গা থেকে ভালোভাবে কাজ করে গেছি। তবে আবার সেই সময়ে নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বটাকেও এগিয়ে নিয়ে গেছি।