১ সপ্তাহও হয়নি পারিবারিক আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বরগুনার বাসিন্দা নুরে জান্নাত লুলুর সঙ্গে বিয়ে হয় সিঙ্গাপুর প্রবাসী মনিরুল ইসলামের। ভেবেছিলেন অল্প সময়ের মধ্যেই সংসারটাকে নিজের মতো করে সাজিয়ে নিবেন তিনি। তবে সেই আসা আর পূরণ হলো না তার। বিয়ের পর বৌয়ের আবদারে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে হানিমুনে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
অজ্ঞাত ৪-৫ জন তাকে মারধরের পর তার স্ত্রী তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। নির্যাতিতা মনিরের অভিযোগ, সে তার সাবেক প্রেমিককে নিয়ে পালিয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুয়াকাটা জিরোপয়েন্ট ফ্রাই মার্কেটের কাছে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ মনিরকে হেফাজতে নিলেও গৃহবধূকে উদ্ধার করতে পারেনি।
মারধরের শিকার পর্যটক মনিরুল ইসলাম বরগুনা জেলার কেজি স্কুলের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুর প্রবাসী ছিলেন।
মনিরুল জানান, পাঁচ দিন আগে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। পরে মঙ্গলবার সকালে মনিরের স্ত্রীকে নিয়ে মির্জাগঞ্জ মাজার জিয়ারত করার কথা থাকলেও স্ত্রীর দাবি পূরণে তাকে কুয়াকাটায় নিয়ে আসেন। ওইদিন সন্ধ্যায় তারা কুয়াকাটা এসে হোটেল তাজে অবস্থান করেন।
মনির বলেন, আমরা সৈকতে ঘোরাঘুরি করে রুমে আসি কিন্তু আমার স্ত্রী আমাকে বারবার অনুরোধ করলে আমরা আবার সৈকতে যাই। সৈকতের জিরো পয়েন্টে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকি। পরে তিনি আমাকে বারবার হাঁটতে বলেন। অনিচ্ছা সত্ত্বেও অন্ধকারে বাজারের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আমার ওপর অত’র্কি’ত হা’ম’লা চালায় ৪-৫ জন। আমি বেঁ’চে থাকার চেষ্টা করি এবং আমার স্ত্রীকে আঁকড়ে থাকি। সে আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে তাদের সাথে পালিয়ে যায়।
এদিকে সংবাদ মাধ্যমকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, খবর পাওয়া মাত্রই দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিম ওই যুবককে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত ওই তরুণীকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোথায়ও তার সন্ধান মেলেনি বলেও জানান তিনি।