রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় বিয়ের তিনদিন পর স্বামীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। সোমবার (১৮ আগস্ট) রাতে উপজেলার বসুপাড়া ইউনিয়নের সাইপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহতের নাম আব্দুর রাজ্জাক (৩১)। তিনি নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন। সে ওই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
গ্রামের বাসিন্দারা জানান, রাজ্জাক তার আগের স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। গত শুক্রবার (২৫ আগস্ট) পার্শ্ববর্তী মোহনপুর উপজেলার ধুরাইল গ্রামের মো. শুকরদীর মেয়ে শাপলা খাতুনকে (১৮) বিয়ে করেন। এটিও ছিল শাপলা খাতুনের দ্বিতীয় বিয়ে।
বাগমারা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, রাতে স্বামীকে বালিশ দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর শাপলা বাড়িতেই ছিল। সকালে খুনের বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের লোকজন পুলিশে খবর দেয়। এরপর পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে।
তিনি জানান, শাপলা একেকবার একেক রকমের কথা বলছেন। তিনি কখনও বলছেন, তারা স্বামী-স্ত্রী একে-অপরকে বালিশচাপা দিয়ে খেলতেন। এতে রাজ্জাকের মৃত্যু হয়েছে। আবার কখনও বলছেন, তার স্বামী শারীরিকভাবে অক্ষম ছিলেন। এ কারণে রেগে বালিশচাপা দিয়েছেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, শারীরিক অক্ষমতার কারণেই শাপলা তার স্বামীকে খুন করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, এই একই কারণে আগের স্ত্রীর সঙ্গে রাজ্জাকের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাগমারা থানার এসআই সুব্রত দাস জানান, মঙ্গলবার সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেপ্তার হওয়া শাপলাকেও আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।