গত বছর পাঁচেক আগেই সাভারে দুই পরিবারের পছন্দ মোতাবেক সামিয়া আক্তারের (২৫) সঙ্গে বিয়ে হয় সাদনাম সাকিব হৃদয়ের। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস পরেই শ্বশুর বাড়ি থেকে পাওয়া ২৫ ভরি স্বর্ণ নিয়ে প্রায় তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন দুজনেই। আর এরই গত বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সামিয়াকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার অভিযোগে স্বামী হৃদয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের শ্বশুর ও শাশুড়ি পলাতক রয়েছেন।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) সকালে সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনি এলাকা থেকে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযুক্তরা সামিয়াকে শ্বা/সরো/ধ করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে রাতে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সামিয়ার ম/র/দেহ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সাদনাম সাকিব হৃদয় সাভারের ব্যাংক কলোনী এলাকার জাকারিয়া হোসেনের ছেলে। তিনি গ্রামীণ ফোনের সাবেক কর্মকর্তা। বর্তমানে বেকার। নিহ/ত সামিয়া আক্তার মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার মিজানুর রহমানের মেয়ে।
নিহতের স্বজনরা জানান, বিয়ের সময় বাড়ি থেকে সামিয়াকে দেওয়া ২৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। স্বজনদের দাবি, শ্বা/সরোধের পর সামিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চাচা আশিকুর রহমান জানান, প্রায় পাঁচ বছর হয়েছে সামিয়াকে বিয়ে করেন হৃদয়। বিয়ের সময় সামিয়ার বাবা ও মামা ২৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, মোটরসাইকেল ও ৩ লাখ টাকার আসবাবপত্র উপহার দেন। বিয়ের কয়েকদিন পর শাশুড়ি জায়েদা পারভীন সামিয়ার গয়না চুরি করে। মাঝে মাঝে এই গয়না নিয়ে শ্বশুর ও স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করত সামিয়া। এসব কথা বলায় সামিয়াকে নি/র্যা/ত/ন করা হয়।
গতকালও কথা হয়েছিল। এরপর বিকেল ৩টার দিকে সামিয়া আমাদের ফোন করে জানায়, তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মারধর করে। এ, সামিয়ার স্বামী ফোনে আমাদের জানান যে সামিয়ার স্ট্রোক হয়েছে। পরে আমরা এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে সামিয়ার লা/শ দেখ/তে পাই। সোনার কথা বলে আমার ভা/গ্নি/কে /মে//রে/ ফেলেছে। আমি তার ফাঁসি চাই।
এদিকে সংবাদ মাধ্যমকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাভার মডেল থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম জানান, গৃহবধূর প্রাণহানীর ঘটনায় স্বামী হৃদয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এবং একই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত বাকিদেরও আটক করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।