দীর্ঘদিন প্রেম, অতঃপর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাজেদুল ইসলাম বাবু নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে আটক করেছে পুলিশ। এই মুহুর্তে আইনের হেফাজতে রয়েছেন তিনি। অভিযোগ প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়ে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার মনিরপুর গ্রাম থেকে রাতে তাকে আটক করা হয়।
আটক মাজেদুলের বাবা ঐ গ্রামের আলতাব হোসেন। তিনি বর্তমানে গুলশান-২ থানায় কর্মরত হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন। তার বিপি নং- ৯৪১৫২১৭৯৯৮।
উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের মনিরপুর গ্রামের আবদুল খালেকের মেয়ে খালেদা পারভীন (৩০) শুক্রবার উল্লাপাড়া মডেল থানায় দেওয়া অভিযোগপত্রে বলেন, ১২ বছর আগে ভদ্রকোল গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে আমিনুল ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি পুত্রসন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে প্রতিবেশী পুলিশ কনস্টেবল মাজেদুল ইসলাম খালেদাকে বিয়ে করার জন্য নানানভাবে প্রস্তাব ও প্রলোভন দেন। গড়ে ওঠে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে স্বামী আমিনুল ইসলামকে তালাক দেয় খালেদা। এরপর খালেদা তার বাবার বাড়ি চলে যান।
মাজেদুল তালাকের পর থেকে ছুটিতে বাড়িতে এসে নিয়মিত খালেদার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনেকবার তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েন তিনি। মাঝে কিছুদিন ঢাকা গাজীপুরে এক বাসা ভাড়া করে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে নানান কৌশলে খালেদাকে বাসায় নিয়ে রাখেন। পরে তিনি তাকে বিয়ে না করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। অবশেষে গত ২১ অক্টোবর রাতে মাজেদুল খালেদার বাবার বাড়িতে গিয়ে তাকে ফুসলিয়ে ফের তার সঙ্গে মিলিত হন। মাজেদুল ঘর থেকে বের হওয়ার সময় খালেদা মাজেদুলের মনোভাব বুঝে চিৎকার করলে বাড়ির লোকজন তাকে আটক করে। পরে উল্লাপাড়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসে। থানায় দেওয়া অভিযোগে খালেদা পারভীন এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে খালেদা পারভীনের তালাকপ্রাপ্ত স্বামী আমিনুল ইসলাম জানান, তাদের ১২ বছরের সংসার। তিনি বিদেশে চাকরি করতেন। এই সময়ে তার অনেক অর্থ ও স্বর্ণ খালেদা হাতিয়ে নিয়ে তাকে তালাক দিয়ে চলে গেছে। তিনি খালেদার বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে আদালতে প্রতারণার মামলা করবেন বলেও জানান।
এ ঘটনায় উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির সংবাদা মাধ্যমকে জানান, এই মুহুর্তে অভিযুক্ত মাজেদুল থানায় আটক রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আসা এ অভিযোগটি খুতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ সময়ে তিনি আশ্বাস দেন, তদন্তে এ অভিযোগ প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।