দীর্ঘদিন প্রেমের পর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করে আসছিলেন মো. তারেক হোসেন। কিন্তু বিয়ের কথা বলতেই রীতিমতো টালবাহানা শুরু করেন তিনি। আর সেই ধারাবাহিকতায় ভুক্তভোগীর মায়ের করা মামলায় তারেককে গ্রে্প্তার করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে নেয়া হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত তারেক সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের (দারোগার বাড়ী) নুরুল আমিনের ছেলে। অপর অভিযুক্ত রাসেল মাহমুদ শেরপুর জেলার বাসিন্দা।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন লক্ষীপুর মডেল থানার ওসি জসিম উদ্দীন।
এজাহার ও থানা সূত্রে জানা গেছে, লক্ষীপুর সরকারি কলেজ পড়ূয়া এক ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দ্বিতীয় অভিযুক্ত রাসেল মাহমুদের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে বিয়ের প্রলোভনে জোরপূর্বক একাধিকবার খারাপ কাজে বাধ্য করা হয়।
এ সময় ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী তারেককে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে বিয়ে করবে না বলে টালবাহানা করতে থাকে। বিষয়টি ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রী পরিবারকে জানায়। পরে গত রবিবার (৯ জানুয়ারি) মোবাইল ফোনে ভিকটিমকে একই স্থানে নিয়ে গেলে পুলিশ অভিযুক্ত তারেক হোসেনকে হাতেনাতে আটক করে।
পরে সোমবার (১০ জানুয়ারি) ওই ছাত্রীর মায়ের করা ধর্ষণচেষ্টা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। এতে সহযোগিতা করায় রাসেল মাহমুদ নামে তার এক বন্ধুকেও আসামী করা হয়। এর আগে গত ১ বছর যাবত ওই কলেজছাত্রীকে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত করার অভিযোগ আনা হয় এই মামলায়।
এদিকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সংবাদ মাধ্যমকে লক্ষীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জসীম উদ্দিন জানান, দুইজনকে আসামি করে ভুক্তভোগী ঐ ছাত্রীর মায়ের করা মামলায় অন্যতম প্রধান আসামি তারেককে এরই মধ্যে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।