Friday , November 22 2024
Breaking News
Home / Countrywide / বিয়ের পর অনাগত সন্তানকে পিতৃ-পরিচয়ের স্বীকৃতি দিতে নারাজ এআইজি ফারুকী

বিয়ের পর অনাগত সন্তানকে পিতৃ-পরিচয়ের স্বীকৃতি দিতে নারাজ এআইজি ফারুকী

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সুবাদেই শুরুটা হয় তাদের। আর এভাবে একপর্যায়ে তাদের মাঝে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। ফোনে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলার পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতেও যেতেন তারা। এভাবে দীর্ঘদিন যাওয়ার পর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কও উঠে তাদের মধ্যে, এবং পর্যায়ে বিয়েও করেন তারা। এখন আবার অনাগত সন্তানকে পিতৃ-পরিচয়ের স্বীকৃতি দিতে নারাজ। একইসঙ্গে দ্বিতীয় স্ত্রী সেই নারীর ওপর /নি/র্যা/ত/নে/র/ অভিযোগ। সম্প্রতি পুলিশ সদর দফতরের সাপ্লাই শাখার এআইজি (এসপি পদমর্যাদা) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকীর বিরুদ্ধে আইজিপি কমপ্লেইন সেলে দেওয়া অভিযোগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে এআইজি মহিউদ্দিন ফারুকীর সঙ্গে পরিচয় ওই নারীর। পরবর্তীতে বিবাহ/বহির্ভূত সম্পর্ক। চলতি বছরের ৬ জুন বিয়ে করেন তারা। ভুক্তভোগী নারী পুলিশ সদর দফতরে অভিযোগ করেন, মা/মলা থেকে বাঁচতেই এআইজি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী অন্তঃ/সত্ত্বা অবস্থায় তাকে বিয়ে করেন। বর্তমানে অ/ন্তঃসত্ত্বা নারীর সন্তানের দায় নিতে নারাজ এআইজি মহিউদ্দিন ফারুকী। তবে ওই নারী স্ত্রীর মর্যাদা এবং অনাগত সন্তানের পিতৃত্বে/র বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য অভিযোগ করেছেন।

গত ২৫ আগস্ট পুলিশ সদর দফতরে অভিযোগ দায়েরের পর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বরাবরও একটি অভিযোগ করা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশ মহাপরিদর্শককে বিষয়টি আমলে নিয়ে ভুক্তভোগী সেই নারীর অভিযোগের সত্যতা ও বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক তথ্য উদঘাটন করার কথা বলেন।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী সেই নারী বলেন, আমি ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এআইজি (এসপি পদমর্যাদা) ফারুকী আমার বাচ্চাকে স্বীকার করতে চাচ্ছে না। প্রতিনিয়ত আমাকে ভ/য়-ভী/তি দেখিয়ে যা/চ্ছে। বাসায় পুলিশ পাঠিয়ে হ’য়’রা’নি করছে। এসব কারণে মানসিকভাবে আমি ভী/তস/ন্ত্রস্ত। প্রথম স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স নেওয়ার জন্য আমাকে বাধ্য করে ফারুকী। আমাদের ফেসবুকে পরিচয়, পরবর্তীতে বিবাহ/বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি আমি আমার প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দেই। পরে গত ৬ জুন ফারুকীকে বিয়ে করি। এরপর থেকেই শারীরি/ক ও মানসিক /হেন/স্তার শিকার হয়ে আসছি। বিয়েতে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছিল কিনা এ বিষয়টিও আমাকে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি ফারুকী । আমার অনাগত সন্তানের পিতৃপরিচয়ের জন্য দরকার হলে আইনের আশ্রয় নেবো। আমি বিশ্বাস করি পুলিশ সদর দফতর এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।

ভুক্তভোগী সেই নারী আরও অভিযোগ করেন, আমি ফারুকীর স্ত্রী। আমার গর্ভে ফারুকীরই বাচ্চা। ২০২০ সালের মার্চে তাকে যখন গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি জানাই, তখন সে /ভ্রূ/ণ//হ//ত্যা// করে। পরবর্তীতে ২০২১ সালে মার্চের দিকে আবারও একই কাজের চেষ্টা করেন ফারুকী। পরবর্তীতে ফারুকী আমাকে চলতি বছরের ৬ জুন বিয়ে করেন। ফারুকী জানিয়েছিলেন, প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছেন। পরবর্তীতে জানতে পারি মিথ্যা বলেছেন। মা/ম/লা/য় যেন পড়তে না হয় সে কারণেই আমাকে বিয়ে করে ফারুকী।

এসব অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ সদর দফতরের সাপ্লাই শাখার এআইজি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী ওই নারীকে বিয়ে করার বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে ওই বিয়ের কোনও আইনগত ভিত্তি নেই বলে দাবি করেন তিনি। ফারুকী বলেন, বিয়ের সময় আগের স্বামীর সঙ্গে তার ডিভোর্স কার্যকর হয়নি। সে কারণে বর্তমান বিষয়টির কোনও আইনগত ভিত্তি নেই। এছাড়া ভুক্তভোগী নারীর দাবি করা সন্তানের বাবা তিনি নন বলেও দাবি করেন। এআইজি ফারুকী বলেন, সে আমাকে ফাঁসিয়ে বিয়ে করেছিল।

এ বিষয়ে পুলিশ সদর দফতরের গণমাধ্যম শাখার এআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আইজিপি কমপ্লেইন সেলে আসা প্রতিটি কমপ্লেইন গুরুত্বসহ তদন্ত করা হয়। তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

পুলিশ সদস্যদের এমন আচরণের বিষয়ে সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেসুর রহমান বলেন, অভিযোগ যে কারও বিরুদ্ধে আসতে পারে। তবে এ ধরনের অভিযোগ আমলে নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিলে বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে আরও স্বচ্ছতা বাড়বে। তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিষয়টি তুলে আনার পাশাপাশি এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।

 

এদিকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করার জন্য প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছিল কি-না এ ব্যাপারে জানতে এআইজি মহিউদ্দিন ফারুকীর কাছে প্রশ্ন করা হলে, তিনি এ প্রশ্নের সঠিক কোনো উত্তর দিতে পারেননি। তবে তবে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর দাবি, মামলা থেকে বাঁচতে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে তাকে বিয়ে করে ফারুকী। এ বিষয়টি তিনি বিয়ের পর জানতে পারেন।

About

Check Also

থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে উল্টো কট ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর

ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের সাবেক আলোচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরকে কাঁঠালিয়া থানার একটি মামলায় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *