বিয়ে হয়েছে মাত্র দেড় মাস। কিন্তু পাত্রী এখন চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনা জানাজানি হতেই শ্বশুর বাড়িতে তোলপাড় শুরু হয়। কনের শ্বশুর ও স্বামী স্থানীয় থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন। ভারতীয় মিডিয়া আউটলেট এনডিটিভি শুক্রবার (১৭ জুন) জানিয়েছে যে নববধূর সম্প্রতি পেটে ব্যথা ধরা পড়ার পরে তাকে একজন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকেই শুরু হয় যত বিপত্ত্বি। ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে তার এই অগ্রীম সন্তান ধারনের কথা প্রকাশ্যে আসে।
বিয়ে হয়েছে মাত্র দেড় মাসের মাথায় কনে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা এমন খবরে রীতিমতো ক্ষুদ্ধ কনের শ্বশুড় বাড়ির সবাই। ডাক্তারের কথা শুনে শ্বশুর বাড়ির লোকজন হতবাক। উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই হতবাক কনের স্বামী। স্থানীয় থানায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন স্বামী। দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। কিছুদিন আগে কনের পেটে ব্যথা শুরু হয়। আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে জানা যায় সে গর্ভবতী। লিখিত অভিযোগে স্বামী পুলিশকে জানায়, দেড় মাস আগে একটি সূত্রের ভিত্তিতে পাশের গ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তিনি অভিযোগ করেন, বিয়ের দেড় মাস পর তিনি জানাতে পারেন তার স্ত্রী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন স্বামী। এ ঘটনায় তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন নববধূকে বাড়িতে থাকতে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়ে বিভ্রান্ত কনের শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তার স্বামী গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজনকে পুরো ঘটনা খুলে বলেন। তিনি দাবি করেন, মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা না জেনেই বিয়ে দেওয়া হয়েছে। যুবক প্রতারণার অভিযোগে কনে ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। স্থানীয় এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তারা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন।
উল্লেখয়, মিডিয়ার মাধ্যমে বিয়ে হওয়া নব দম্পতি, বিয়ের কিছু দিন পরেই স্ত্রীর শারীরিক পরিবর্তন অস্বাভাবিক দেখে ডাক্তারের স্বরনাপন্ন হয় স্ত্রীর শ্বশুড় বাড়ির লোকজন। সেখানে গিয়েই স্ত্রীর অগ্রিম গর্ভাবস্থার কথা প্রকাশ্যে আসে। যা আলোচনায় আশা এই দম্পতির দাম্পত্য জীবনে বিপত্বির সুত্রপাত ঘটায়। বিয়ের দেড় মাস পর কীভাবে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লেন স্ত্রী, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন কনেকে বাড়িতে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলার কোলহুই থানার অফিসার ইনচার্জ অভিষেক সিং বলেছেন, পুলিশ বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করছে।