স্ত্রী-সন্তান থাকা সত্বেও কাউকে কিছু না জানিয়ে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন চট্টগ্রাম রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাহআলম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত বিয়ের মাত্র কয়েকদিন পরেই ঐ নারীর হঠাৎই মৃত্যু হওয়ায় বেশ বিপাকে পড়ে যান তিনি। কি করবেন ভেবে ভেবে রীতিমতো বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছিলনে শাহআলম। তবে শেষমেষ সহযোগী লিওন শাহাকে সঙ্গে লুকিয়ে ঐ নারীর লাশ দাফন করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা খেয়ে যান তিনি। ওই নারীর নাম উম্মে সাইয়েদা(২৩)। সে ওই প্রকৌশলীর স্ত্রী এবং বিগত ১৩ জানুয়ারি তাদের বিয়ে হয়েছে এমনটি বলেছে ওই প্রকৌশলী।
সোমবার সকালে দাফনের জন্য গাজীপুর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ওই নারীর মরদেহ গোপালগঞ্জ পৌর কবরস্থানে আনা হয়। আগের রাতে কবর খোঁড়া হয়েছিল। কবরস্থানের রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান নিহত নারীর পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার পরিচয় জানতে চান। রেলওয়ে কর্মকর্তা শাহ আলম ও তার সহযোগী লিয়ন সাহা তাদের পরিচয় জানাতে রাজি হননি। তারা দ্রুত লাশ কবর থেকে তুলে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে থানায় নিয়ে যায় এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
চট্টগ্রাম রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাহ আলম এর সাথে আলাপকালে তিনি জানান, লিওন সাহা নামের এক ছেলের মাধ্যমে ১১ দিন আগে উম্মে সায়েদা নামের ওই নারীকে বিয়ে করেন তিনি। দুদিন আগে হঠাৎ করেই মারা যান তিনি। আগের পক্ষের স্ত্রী-সন্তানের কাছ থেকে বিষয়টি আড়াল করতে সহযোগী লিওনের মাধ্যমে দাফনের জন্য গোপালগঞ্জ নিয়ে আসেন।
এদিকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মোঃ মনিরুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বিষয়টি টের পেয়ে ঐ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদে নেয়া হয়েছে। অপরদিকে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার বিস্তারিত জানা যাবে।