সপ্তাহ খানেক আগে বাড়ি এসে কনে দেখে বিয়ে পাকাপাকি করেন। এরপর তিনি তার কর্মস্থল কালিয়াকোরে চলে যান। বলা হয়েছিল বিয়ের আগের দিন বাড়ি আসবে; কিন্তু আসেননি। তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। নির্ধারিত দিনে শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) কনের বাড়িতে চলছিল বিয়ের আয়োজন।
এরই মধ্যে বর মাজহারুল ইসলামের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের খবর আসে।নিমিষেই মাটি হয়ে গেল সকল আনন্দ। বর মাজহারুল ইসলাম (২৫) ময়মনসিংহের নান্দালে পৌরসভার কাটলিপাড়া মহল্লার ইব্রাহিম সরকারের ছেলে। থাকতেন গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকার হাজীবাড়ী কলোনি মহল্লায়। সেখানে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
বরের ভাই আনসারুল ইসলাম ঢাকায় হাইকোর্টের এক আইনজীবীর সহকারী হিসেবে কাজ করেন। তাঁর ভাষ্য, শুক্রবার মাজহারুলের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। যথাসময়ে বাড়িতে আসতে দুই দিন আগেও তাঁকে ফোন করা হয়। কিন্তু ওপাশ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে বিষয়টি তাঁকে (আনসারুলকে) জানান বাড়ির লোকজন। কিন্তু মাজহারুলের সঙ্গে ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তিনিও। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়িতে আসেন তিনি।
এর পর বিকেলে বাড়ির লোকজন নিয়ে মাজহারুলের কর্মস্থলে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করেন। ঠিকানা জানা না থাকায় রাতভর এখানে-সেখানে খোঁজাখুঁজি করেও বরের কোনো হদিস পাননি। শুক্রবার সকালে তাঁর মেসের ঠিকানা পেয়ে সেখানে যান স্বজনরা। মেসের বন্ধ কক্ষে ফাঁস দিয়ে ঝুঁলে থাকা অবস্থায় মাজহারুলের মরদেহ দেখতে পান তারা। বিষয়টি কনের বাড়িতে জানানো হয় ফোনে।