প্রেমের টানে অনেকে ঘর ছাড়ে এমন ঘটনা নতুন নয়। তবে বিবাহিত এক মহিলা প্রেমের টানে পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান এমন ঘটনা মেনে নিয়ে পারেনি ছেলের পরিবারসহ কেউই। এমন ঘটনার সৃষ্টি হলে এক পর্যায়ে ওই নারীর সাথে ঘটে যায় অপ্রত্যাশিত ঘটনা।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকে বাড়িতে থাকা ওই নারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পরকীয়া প্রেমিকের বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের হীনপুর দেওয়ান বাড়ি গ্রামে মনিরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম রোকসানা আক্তার। ৩৮ বছর বয়সী রোকসানা একই ইউনিয়নের বৈশটেকী গ্রামের মনু মিয়ার মেয়ে।
অভিযুক্ত প্রেমিকের নাম মনির হোসেন। সে সোনারগাঁ উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের হীনপুর দেওয়ান বাড়ি গ্রামের রাজু মিয়ার ছেলে।
তালতলা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. রাজু আহমেদ জানান, স্বামী ত্যাগী রোকসানার সঙ্গে মনিরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রলোভনে কয়েকবার তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে মনির। সোমবার সকালে বিয়ের দাবিতে মনিরের বাড়িতে অবস্থান নেন রোকসানা। এ সময় মনিরের বাড়ির লোকজন তাকে বেশ কয়েকবার ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে দেয়।
নিজের অবস্থানে অনড় থাকায় মনির হোসেন, তার ভাই গোলজার, খোকন ওরফে খোকা, ছেলে রানা, মনিরের স্ত্রীসহ সাত-আটজনের একটি দল বিকেলে রোকসানাকে পাইপ ও রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। মনির ও তার স্বজনরা তাকে কোমায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মনির ও তার পরিবারের লোকজন লাশ ফেলে মোবাইল ফোন বন্ধ করে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।
সোনারগাঁ থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, এক নারীকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। অভিযোগটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করেনি পুলিশ।