প্রেমের টানে ঘর ছাড়া, কিংবা প্রেমিক বা প্রেমিকার বাড়িতে অনশনের বিষয়টি প্রায় মিডিয়ায় উঠে আসে। তবে এই ধরনের ঘটনায় বিপাকে পড়েন প্রেমিক বা প্রেমিকার বাড়ির সদস্যরা। এবার তেমনই একটি ঘটনা ঘটলো ধামরাইয়ে। যেখানে বয়সে বড় প্রেমিকা তার থেকে বয়সে ছোট প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছে।
বিয়ের দাবিতে হাতে বি”ষের বোতল নিয়ে প্রেমিক নবম শ্রেণির এক ছাত্রের বাড়িতে অনশন করছে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী।
অনশনরত ওই ছাত্রী জানান, তিনি তার প্রেমিককে বিয়ে না করা পর্যন্ত তিনি নিথর হলেও ঘর ছাড়বেন না। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন প্রেমিকার পরিবারের সদস্যরা। উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের পাবরাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আয়নাল হকের বাড়িতে।
সোমবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রেমিক হাসানের বাড়িতে অনশনে রয়েছেন প্রেমিকা। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চ’ল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অনাহারী প্রেমিকা আরও জানান, বিয়ের কথা বলে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসান আমাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। স্বামী-স্ত্রীর মতো রাত কাটিয়ে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। সে আমাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে আমি রবিবার তার বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করি। এই অনশন চলবে বিয়ে পর্যন্ত।
তবে প্রেমিক হাসান জানান, ওই মেয়েটি আমার চেয়ে বড়। তাই তাকে বিয়ে করা সম্ভব নয়। তা ছাড়া প্রেম-ভালোবাসা হলেই কি যাকে-তাকে বিয়ে করা যায় নাকি?
এ ব্যাপারে বালিয়া ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বর মো. ইমরান হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। এটা সম্পর্কে কেউ আমাকে কিছু বলেনি। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখি কি করা যায়।
বালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু অবগত নই। দুই দিন হয়ে গেছে এখনো কেউ আমাকে কিছু জানায়নি। তবে এসব বিষয় আইন সাপেক্ষে সমাধান সম্ভব। এক্ষেত্রে আমার কিছু করার নেই।
এ ঘটনায় কাওয়ালীপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মজিবর রহমান বলেন, শুনেছি বিয়ের দাবিতে একটি মেয়ে অনশন করেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেউ এখানে এসে অভিযোগ করেননি। এরপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেব।
ঘটনা সম্পর্কে এলাকাবাসীর মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি হয় এবং বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য এলাকার বিশিষ্টজনদের দৃষ্টি কামনা করেন। এ বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান বা মেম্বর সমাধান করবেন বলে জানান ঐ এলাকাবাসীর কয়েকজন।