শিক্ষকের সঙ্গে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কলেজ ছাত্রীর ধারণা ছিল শিক্ষক তাকে বিয়ে করবেন। কিন্তু ঘটলো ভিন্ন ঘটনা। ঐ ছাত্রী বিয়ের দাবিতে গোপালগঞ্জ ( Gopalganj ) জেলার টুঙ্গিপাড়া ( Tungipara )য় ঐ শিক্ষকের বাড়িতে এসে অনশন আরম্ভ করেন এর পর ঐ সুকান্ত মণ্ডল নামের শিক্ষক ঘরের বেড়া ভেঙে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে শিক্ষকের পরিবারের অন্য সদস্যরাও বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।
বিয়ের দাবিতে অনশনে থাকা ওই কলেজ ছাত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, আমি সুকান্ত মণ্ডলের ( Sukanta Mandal ) সঙ্গে প্রেমের সম্পরর্কে জড়াতে চাইনি। এরপর সুকান্ত তার বন্ধুদের দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেন। তারপর তারা আমাকে বুঝিয়ে সুকান্তের সাথে প্রেম করতে রাজি করান। তারপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন সময়ে ঢাকা ( Dhaka ) ও সুন্দরবনের বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে আমার সাথে অনৈতিক কাজ করেন। পরে আমি রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে সুকান্ত বিয়ে করতে অস্বীকার করে এবং যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে গিয়েও কোনো সমাধান পাননি। তাই বিয়ের দাবিতে অনশন করছি।
অভিযুক্ত শিক্ষক সুকান্ত মন্ডলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। এছাড়া এ বিষয়ে তার পরিবারের কেউ কোনো মন্তব্য করতে চাননি। এদিকে টুঙ্গিপাড়া ( Tungipara ) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) তন্ময় মণ্ডল গণমাধ্যমকে জানান, মেয়ের অনশনের খবর তিনি শুনেছেন। তবে এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রী কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, এই ধরনের ঘটনা সমাজে প্রায় ঘটছে। এই সব অপরাধমূলক ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি করেন ভুক্তভোগী পরিবার। সু্ষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধিকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি সমাজের সকল শ্রেনীর মানুষের। সমাজে এই ধরনের ঘটনার যারা ঘটান তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মন্তব্য।