দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক, বিয়ের কথা বলতেই সেই প্রেমকে অস্বীকার করছে প্রেমিক। ফলে নিরুপায় হয়ে নিজের প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অনশন করছেন বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদীর মনোহরদীতে। ভুক্তভোগীর দাবী এখন তাকে বিয়ে করে স্ত্রী মর্যাদা দিতে হবে, তানাহলে সে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
নরসিংদীর মনোহরদীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। গত মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় খিদিরপুর ইউনিয়নের চরসাগরদী গ্রামে প্রেমিক রাকিবের বাড়িতে অনশন শুরু করে ওই তরুণী। কথিত প্রেমিক রাকিব ওই গ্রামের প্রয়াত নুরুল হকের ছেলে এবং স্থানীয় একটি কলেজের ছাত্র। অনশন করা প্রেমিকা রাকিবের প্রতিবেশী এবং রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। মেয়ের অনশনের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন প্রেমিকের পরিবারের সদস্যরা। প্রেমিকা জানান, চার বছর ধরে রাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে। মাঝে মাঝে দুজনের দেখা হত এবং বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যেত।
বিয়ের প্রলোভনে রাকিব বেশ কয়েকবার তার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করে বলেও অভিযোগ ওই তরুণীর। পরে এলাকার লোকজন বিষয়টি জানতে পারেন। সম্প্রতি বিয়ের জন্য চাপ দিলে রাকিব তার সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করার চেষ্টা করে। ফলে তার বাড়িতে এসে অনশনে বসেন। বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। আসামি রাকিবের বাড়িতে গেলে পরিবারের কোনো সদস্যকে না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। খিদিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাওসার রশিদ বিপ্লব জানান, ঘটনাটি জানার পর উভয় পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকা হয়েছে। কিন্তু ছেলের পরিবার সাড়া না দেওয়ায় সমাধান করা সম্ভব হয়নি। রামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক এক স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর সাথে। সেই সম্পর্ককে কেন্দ্র করে বহুবার জোরপুর্বক বিয়ের কথা বলে শারীরিক সম্পর্কও করেছেন অভিযুক্ত প্রেমিক। তাদের এই প্রেমের কথা স্থানীয় পর্যায়ে জানাজানি হলে এই প্রেম এবং প্রেমিকাকে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করেন প্রেমিক। এখন প্রেমিক পালাতক রয়েছেন।