বিয়ে করার দাবি নিয়ে নবম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রী তার কথিত প্রেমিকের বাসার সামনে প্রায় দুই দিন ধরে অনশন করার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যেমে সমগ্র ছড়িয়ে পরে। মেয়েটি ও তার প্রেমিক একসাথেই স্কুলে যাতায়াত করতো এমনটি জানান প্রতক্ষ্যদর্শীরা। তাদের একসাথে যাতায়াতকে লক্ষ্য করেই দুজনের ভিতরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুবাধে তারা দুইজনেই গোপনে বিয়ের পরিকল্পনা করছিলেন বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়।
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে দুই দিন ধরে অনশন করেছে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। রংপুর নগরীর ( Rangpur city ) ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হেলাল উদ্দিনের ( Helal Uddin ) ছেলের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। অনশনরত ওই ছাত্রী একই এলাকার বাসিন্দা। তারা একই স্কুলে যাতায়াত করছিলেন। গত দুই বছর ধরে প্রেম করছেন দুজন। গত কয়েকদিন ধরে পরিবারের অজান্তেই বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হলে প্রেমিক প্রেমিকাকে নিয়ে তার বাসায় উঠে পড়েন। বিষয়টি ছেলেটির বাবা-মা দেখতে পেয়ে মেয়েটিকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। অনেক চেষ্টা করেও ঘর থেকে বের হতে পারেনি। একপর্যায়ে কাউন্সিলরসহ এলাকার বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বুধবার সন্ধ্যায় উভয় পরিবারকে থানায় ডেকে নিয়ে পুলিশের ( police ) সহায়তা চান।
ছেলে ও মেয়ের বয়স কম হওয়ায় রাসিক প্যানেল মেয়র শামসুল ইসলামকে ( Shamsul Islam ) দুই পরিবারের মধ্যে লিখিত আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দেয়। কিন্তু ছেলেটি রাগান্বিত হয়ে চুক্তি না মেনে চলে যায়। পরে ওই স্কুলছাত্রী আবার ছেলের বাড়ির প্রধান ফটকে গিয়ে অনশন শুরু করে। এসময় বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মা’/রধর করে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। আহত হয়েও সে অবিচল থাকে। তবে স্কুল ছাত্রী অনশন শুরু করার পর তার প্রেমিক নিখোঁজ হয়ে যায়। এ ব্যাপারে প্যানেল মেয়র শামসুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করলেও ছেলে পক্ষ সাড়া দেয়নি। যেহেতু এটা নারী ও শিশুদের বিষয়, তাই আইনের লোকদের সাহায্য চাই।
অন্যদিকে মেয়েটির বাবা বলেন, আমি গরিব মানুষ। আর ছেলেরা প্রভাবশালী। বিষয়টি সমাধানের জন্য আমি আইন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তা চেয়েছি। এতে কোনো কিনারা না হলে মামলায় যাব। এদিকে ছেলেদের কেউই গনমাধ্যেম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে নারাজ। তাজহাট মেট্রো ( Tajhat Metro ) থানার ওসি নাজমুল কাদের বলেন, আমি কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। মৌখিকভাবে শুনেছেন। কেউ অভিযোগ করলে বা বক্তব্য দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ভুক্তভোগী মেয়ের সাথে তার কথিত প্রেমিকের সম্পর্কের কথা জানাজানি হলে মেয়েটিকে নিয়ে ছেলেটি তার বাসায় নিয়ে যায়। তবে ছেলেটির পরিবার তাকে মেনে না নিয়ে এক পর্যায় মেয়েটি উদাম প্রহার করে তারিয়ে দেয়। তবে মেয়েটিকে বের করে দেওয়া স্বত্তেও সে সেইখানে অনশন পালন করে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। মেয়েটির বাবা অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল বলে তাদের সম্মুক্ষিন হতে পারছে না বলে জানান মেয়েটির বাবা। তবে তিনি এই পরিস্থির সুষ্ঠ বিচার না পেলে ছেলে পক্ষ্যের বিরুদ্ধে আইনি সহায়তা নিবেন বলে গনমাধ্যেম কর্মীদের জানিয়েছেন।