নিজের পছন্দের মানুষের সাথে সংসার করতে চাইলেও কোনো ভাবেই মেনে নিচ্ছিল না পরিবার। আর সেই ধারাবাহিকতায় শেষমেষ অভিমান করে মৃত্যুর পথ বেঁছে নিলেন মো. আরমান (১৫) নামে এক কিশোর। গতকাল শুক্রবার (১০ জুন) কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় চন্ডিপাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গোটা এলাকাজুড়ে বেশ চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই কিশোর চন্ডীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দিনের ছেলে। সে স্থানীয় কোদালিয়া শাহরুল্লাহ ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
শামসুদ্দিন জানান, একই এলাকার এক ইউপি সদস্যের মেয়ের সঙ্গে তার ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের জন্য মাকে চাপ দিচ্ছিল আরমান। কিন্তু ছেলে মেয়ে উভয়েই নাবালক হওয়ায় তার মা তাকে ধৈর্য ধরতে বলেন। শুক্রবার সকালে আরমান নাস্তা খেয়ে কিছুক্ষণ এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। পরে বাসায় গিয়ে ঘরে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার মা তাকে জুমার নামাজ পড়তে যাওয়ার জন্য ডাকতে থাকেন। অনেকক্ষণ চিৎকার করেও কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে যান। এরপর তার মৃতদেহ দেখতে পান পরিবার।
এদিকে সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে পাকুন্দিয়া থানার এসআই আমিনুর রহমান জানান, এ ঘটনায় পরিবাররের পক্ষ থেকে থানায় কোনো প্রকার আসেনি। আর সেহেতু মৃতদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছে।