পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া নামক এলাকায় ১৮ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ২ মাসের কাছাকাছি সময় ধরে খারাপ কাজ করায় অভিযুক্ত ব্যক্তি চার মাস ২১ দিন পালাতক থাকার পর শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে। এদিকে ঐ কিশোরীর বিয়ে হয় এবং অল্প কিছুদিন পর তিনি একটি ছেলের জন্ম দেন। বর্তমানে ঐ সন্তানের বয়স আড়াই মাস যার কারনে বিপাকে পড়েছেন ঐ কিশোরী। বিয়ের পর মেযয়েটির শ্বশুরবাড়িতে তাকে আর ফিরিয়ে নিটে চাইছে না যার কারনে অসহায় হয়ে পরেছেন ঐ কিশোরী।
শুক্রবার দুপুরে চর চান্দুপাড়া গ্রামের অভিযুক্ত ইয়াসিন হাওলাদারকে (৫০) পুকুরে ফেলে তাকে আটক করে কলাপাড়া থানা পুলিশ।
কলাপাড়া থানার এসআই মো. সাইফুল ইসলাম জানান, গত ৭ জুন মেয়েটির মা বাদী হয়ে চর চান্দুপাড়া গ্রামের প্রয়াত আজাহার হাওলাদারের ছেলে ইয়াসিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে নারী সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করেন।
মামলায় উল্লেখ করেন, মেয়েটির বাবা-মা প্রতি রাতে বাড়ির পাশের খালে মাছ ধরতে যান। ওই সময় মেয়েটি বাড়িতে একাই থাকত। গত বছরের ১ অক্টোবর থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত রাতে ইয়াসিন হাওলাদার মেয়েটিকে বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়ে কু কর্ম চালিয়ে যায়। লোকলজ্জার ভয়ে মেয়েটি পরিবারের কাউকে ঘটনাটি জানায়নি।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, চলতি বছরের ৪ মে মেয়েটির অন্যত্র বিয়ে হয়। বিয়ের পর সে তার শ্বশুর বাড়িতে চলে যায়। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর তার শরীরে পরিবর্তন আসতে থাকে এবং সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে জানতে পারে সে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ওই দিন শ্বশুরবাড়ি থেকে তরুণীকে তার বাবার বাড়িতে পাঠানো হয়। পরে ওই তরুণী তার পরিবারকে ঘটনাটি জানায়। এ ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে কলাপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এটা টের পেয়ে ইয়াসিন পালি’য়ে যায়।
বর্তমানে মেয়েটির আড়াই মাসের একটি ছেলে রয়েছে। ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই থাকছেন তিনি। তাকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে তার পরিবার।
সাইফুল ইসলাম যিনি পুলিশের এসআই হিসেবে দায়িত্ব পালন কেছেন তিনি আরও জানিয়েছেন, পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে গেছে এমনটি টের পাওয়ার পর ইয়াছিন দৌড়ে গিয়ে একটি পুকুরে ঝাঁপ দেয় এবং সেখান থেকে পালা’নোর চেষ্টা করে। পুলিশ পরে তাকে পুকুর থেকে উঠিয়ে আটক করে এবং সেখান থেকে থানায় নিয়ে আসে। গতকাল শনিবার তাকে পরবর্তি পদক্ষেপের জন্য আদালতে প্রেরন করে।