অনেক তরুণ-তরুণী আছে যারা প্রেমের জরে তাদের প্রেমিক-প্রেমিকাকে নিজের সর্বস্ব লুটিয়ে দেয়। অনেক সময় দেখা যায় স্বার্থসিদ্ধির পরে সেই প্রেমিক-প্রেমিকা ছেড়ে চলে যায়। এমন ঘটনায় এ পর্যন্ত অনেক মানুষ আত্মহননের পথও বেছে নিয়েছে। এবার এমন একটি ঘটনার শিকার হয়েছে জান্নাতুল আফরিন।
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন তিনি (জান্নাতুল আফরিন চৈতী) নামের এক কলেজছাত্রী। শনিবার বিকেল থেকে উপজেলার চিকাজানী ইউপির পশ্চিম কাজলা পাড়া গ্রামের জাফর আলীর ছেলে আমিনুল ইসলামের বাড়িতে মো. কলেজছাত্রী জান্নাতুল আফরিন চৈতী একই গ্রামের রফিজুল ইসলামের মেয়ে।
জানা গেছে, ৪ বছর ধরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। প্রেমভাটার কারণে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেন ওই তরুণী।
জানা যায়, ওই তরুণীর সঙ্গে আমিনুল ইসলামের দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। গত শুক্রবার তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঢাকা থেকে বাসায় নিয়ে আসার পথে তাকে ময়মনসিংহে রেখে যায়। চৈতী ময়মনসিংহ থেকে প্রেমিকার বাড়িতে এসে অনশনে বসেন।
চৈতী বলেন, আমিনুল ইসলামের সঙ্গে চার বছর ধরে যুক্ত আছি। সে আমাকে বিয়ে করবে বলে আমাকে নষ্ট করে। গত শুক্রবার বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ময়মনসিংহ ত্যাগ করেন। রাতে ময়মনসিংহ থেকে একতা ট্রেনে দেওয়ানগঞ্জ পৌঁছালে রেলওয়ে পুলিশ আমাকে একা দেখে দেওয়ানগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়। শনিবার দুপুরে বিয়ের দাবিতে আমিনুল ইসলামের বাড়িতে অনশন করেন। সে আমাকে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করব।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুছ ছালাম জানান, বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ওসি শ্যামল চন্দ্র ধর জানান, আমিনুল ইসলাম জান্নাতুল আফরিনকে ছেড়ে চুনিয়াপাড়ার অন্য মেয়ের সঙ্গে বিয়ে করেন। বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনা একতরফা বলে দাবি করেছেন ছেলে। তবে ঘটনার তদন্ত এখনো চলছে। যেহেতু স্থানীয়দের পরে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেহেতু একটি সুষ্ঠু সমাধানের আশা করছে ওই তরুণী। এছাড়া এ ঘটনায় ছেলের পরিবার থেকে কোন রকমের বিশেষ কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে তারা গন মাধ্যমে জানিয়েছেন গ্রাম্যসালিশ যে সিন্ধান্ত নেবে তা আমরা মেনে নিতে রাজি।