সম্প্রতি গত কয়েকদিন আগেই চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে দীর্ঘদিন প্রেমের পর পারিবারের সম্মতিতে রাকিব হোসেন নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় ফাতেমা আক্তারের (১৮)। ভেবেছিলেন খুবই অল্প সময়ের মধ্যেই সংসারটাকে নিজের মতো করে সাজিয়ে নিবেন তিনি। কিন্তু এর আগেই ঘটে গেল এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা। বিয়ের এক সপ্তাহ না যেতেই তালাক নামা পাঠিয়ে দেয়া হয় ফাতেমাকে।
আর এরই জের ধরে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অনশনের বসেছেন ফাতেমা। শুক্রবার (২২ জুলাই) সকাল থেকে উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের কাশেমপুর তাহের মাস্টারের বাড়িতে অনশনে বসেন দেশগাঁও ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির এই শিক্ষার্থী।
এদিকে ফাতেমা আক্তারের উপস্থিতি টের পেয়ে রাকিব হোসেন তাৎক্ষণিকভাবে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। বিকেলে বিষয়টি জানতে পেরে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আজিজ-১ ও ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বাচ্চু ঘটনাস্থলে আসেন।
অনশনে থাকা ফাতেমা আক্তার জানান, দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের পর গত ১৪ জুলাই চাঁদপুর নোটারি পাবলিক অফিসে হলফনামার মাধ্যমে তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ওই দিন রাকিব মেয়েটিকে হাজীগঞ্জ বাজারে তার বোনের বাড়িতে নিয়ে যায়। এবং সেখানে রাত কাটিয়ে পরের দিন তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, বাবা-মায়ের সম্মতিতে রাকিব আমাকে তার বাসায় নিয়ে যাবে। কিন্তু বিয়ের এক সপ্তাহের মধ্যেই আমাকে ডিভোর্স দেয়। এ ঘটনায় আমার পরিবার স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বাচ্চুসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করেও কোনো সুরাহা হয়নি। তাই তার বাড়িতে অনশনে বসেছি।
এ সময় সাংবাদিকদের আরও বলা হয়, স্বামী রাকিবের বাসায় ঢোকার চেষ্টা করলে তার বোনেরা তাকে মারধর করে। এরপরও তিনি সেখানে অবস্থান করে অনশন শুরু করেন। খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বাচ্চুর উপস্থিতিতে মেয়েটি ঘরে ঢুকে সেখানেও অনশন করে।
এদিকে সংবাদ মাধ্যমকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাজীগঞ্জ থানার এসআই আব্দুল আজিজ জানান, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে ঐ কলেজছাত্রীর অনশন ভাঙা হয়। একই সাথে বিষয়টি খুতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।