২৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলা নাংলা ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত এক বিয়েতে বাল্যবিবাহের জেরে পরিচালিত হয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। ফলে বর ও কনে উভয়ের পরিবারের সকল সদস্য ভয় পেয়ে বিয়ের আসর ছেড়ে পালিয়ে যেতে সমর্থ হলেও থেকে যান বর স্বয়ং। পরবর্তীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্হিতিতে মুচলেকা প্রদানের পর দুই হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের পাশপাশি পন্ড করে দেওয়া হয় বিয়ে৷
জানা যায়, উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের একটি গ্রামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর (১৫) ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন চলছিল। স্থানীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরীর জামালপুর সদর উপজেলার এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বরযাত্রী কনের বাড়িতে আসেন। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল। কিন্তু বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে ইউএনও বিয়ে বাড়িতে এসে হাজির হন। ইউএনওর উপস্থিতি টের পেয়েই পালিয়ে যান বর ও কনের বাবা-মা।
এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সঠিক সময়ে গিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করি। অভিযান পরিচালনার সময় বর ছাড়া কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে কনের চাচাকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসন সব সময় মাঠ পর্যায়ে খোঁজ খবর রাখছে। বাল্যবিয়ে বন্ধে সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা উচিত।’
প্রসঙ্গত, গতকালকেই দুপুরে বাল্যবিবাহকে কারণ দেখিয়ে নেত্রকোনার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে হেলিকপ্টারে করে কনেকে নিতে এসেও বিয়ে না করে চলে যেতে হয় বরকে৷