চলচ্চিত্র জগতে পা রাখার পর পরই তার অসাধারণ আকর্ষণীয় চেহারায় মুগ্ধ দৃর্শকবৃন্দ। চেহারা ও দুর্দান্ত অভিনয়ে অল্পদিনের ব্যবধানে দৃর্শকের মন কেড়ে নেয় পরী। একের পর এক জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিতে থাকেন তিনি। তবে বেশ কয়েক দিন আগে নিষিদ্ধ পণ্য সেবন এবং বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার ও কিছুদিন সাজা ও ভুগতে হয়ে এই অভিনেত্রীকে। তবে নানা অপ্রত্যাশিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিগত দিনগুলোতে তাকে নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। তবে এবার তার বিয়ের এনগেজমেন্টের আংটি নিয়ে বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
বাগদানের আংটি মহিলাদের জন্য একটি অমূল্য সম্পদ। তারা সারাজীবন এটিকে আগলে রাখেন। আর সেই আংটি উপহার হিসেবে দিলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি!
আশ্চ’র্যজনকভাবে, একজন সহশিল্পী তার বান্ধবীর কাছ থেকে একটি উপহারের আংটি পেয়েছেন। তার বয়স মাত্র দুই মাস!
শুক্রবার অরণ্য আনোয়ার ( Anwar ) পরিচালিত ‘মা’ ছবির শুটিং চলাকালে এ ঘটনা ঘটান ‘বিশ্বসুন্দরী’ খ্যাত নায়িকা।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে যোগাযোগ মাধ্যমের একটি স্ট্যাটাস দেন পরিচালক অরণ্য আনোয়ার ( Anwar )।
তিনি লিখেছেন, আমি বিকেল ( Afternoon ) তিনটার দিকে শুটিং প্যাকআপ করে দলের সঙ্গে খেতে বসলাম। এমন সময় কেউ একজন বলল, পরী আপু তোমাকে ডাকছে। সেটের একটি কক্ষে রাজকে নিয়ে ঢাকায় ( Dhaka ) ফেরার আয়োজনে ব্যস্ত ছিলেন পরী। আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, ভাই এই সিনেমায় আমার সন্তান হিসেবে যে অভিনয় করবে তাকে একটা ভালো উপহার দেওয়া উচিত।
অরণ্য আনোয়ার ( Anwar ) বলেন, প্রোডাকশন হাউস ( Production house ) ইতিমধ্যে শিশুটিকে একটি খামে টাকা দিয়ে তার মায়ের হাতে দিয়েছে। তবে বিশেষ কিছু দেওয়ার কথা ভাবছিলেন পরীমনি। শুটিং করতে গিয়ে সেই শিশুর মায়ার বাঁধনে আটকে যান পরী।
দেখা গেল একটি আংটি নিয়ে হাজির পরীমনি।
অরণ্য আনোয়ার বলেন, খাওয়া শেষে উঠানে দৃশ্যের শুটিংয়ের আয়োজন করছি, এমন সময় ঘরের ভেতর থেকে পরী আবার ডাক দিল। ঘরে ঢুকেই দেখি রাজ ও পরীর হাতে সোনার আংটির ছোট বাক্স। পাশে বসা শিশুটির মা। পরী বলল, ভাই, এটা আমার দুটি এনগেজমেন্ট রিং এর একটি। আমি তোমার হাতে এই আংটিটা বাবুটাকে উপহার হিসেবে দিতে চাই। আমি বিষ্মিত! এই মেয়ে কি বলে?
অরণ্য কনের বাগদানের আংটি সন্তানের মায়ের হাতে তুলে দেন, চাইলেন আংটি দেওয়ার একটা ছবি তুলে রাখতে। কিন্তু অভিনেতা শরিফুল রাজের আপত্তির কারণে ছবিটি তোলা হয়নি।
বান্ধবীর প্রশংসা করে অরণ্য আনোয়ার ফেসবুকে লিখেছেন, আমরা ছবি তুলিনি। কিন্তু পরীর এই আবেগ নিয়ে লিখব না, মানুষকে জানতে দেব না, আমি এমন অবদমিত প্রকৃতির মানুষ নই। দুই মাস বয়সী শিশুটির বাবা একজন অটোরিকশা চালক এবং মা গৃহিণী। স্যালুট, পরি। আপনাকে অভিনন্দন, শ্রদ্ধা, ভালবাসা।
উল্লেখ্যে, বিগত বেশ কিছুদিন ধরে পরিমনিকে নিয়ে নানা ধরনের খারাপ সমালোচনা মূলক মন্তব্য করেছেন অনেকেই। তবে অনেক দর্শক পরির ওই সকল খারাপ আচরণের বিষয়টি আর সিনেমা জগতের পরিকে আলাদা ভাবে নিয়েছেন। বেশ কিছু নেটিজেনরা জানায় পরির বাস্তব জীবনের দখল দারি করার অধিকার আমাদের নেই। আমরা তাকে একজন ভালো অভিনেত্রী হিসেবে দেখতে চাই। যার যার কর্মফল সে নিজেই ভোগ করবে তাই অন্যের সমলচনা থেকে দেশের সকল মানুষকে বিরত থকতে হবে। আবার অনেকেই তার বিরুদ্ধে কুরুচি পূর্ণ কথাও বলেছেন যোগাযোগ মাধ্যমে।