বিশেষ দিন গুলোকে স্মরণীয় করে রাখতে আগে থেকেই নানা পরিকল্পনা করে থাকেন কেউ কেউ। এরপর নির্ধারিত দিন আসতেই এমন কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন, যা দেখে রীতিমতো চমকে যান সকলেই। আর এদিক থেকে মোটেও ব্যতিক্রম নন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নেতা রিদওয়ান আনসারিও।
হেলিকপ্টারে চড়ে ছয় কিলোমিটার দূরে গিয়ে বিয়ে করেন সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা। বিয়েকে স্মরণীয় করে রাখতে হেলিকপ্টারে চড়ে কনের বাড়িতে চড়ে যান তিনি। রাজকীয় পোশাকে বরের হাতে তলোয়ারও দেখা যায়। বিয়ে দেখতে শত শত মানুষ জড়ো হয়েছিল।
সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মুন্সেফপাড়ার আনসারী বাড়ির এ আর আনসারী বাবরু ও রোকসানা আনসারী পপির ছোট ছেলে।
শুক্রবার (১ জুলাই) দুপুরে পৌর এলাকার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বোর্ডিং মাঠ থেকে হেলিকপ্টারে ওঠেন তিনি। বরের হেলিকপ্টার প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের সুহিলপুর বাজারে অবতরণ করে। সেখান থেকে ঘোড়ায় চড়ে কনের বাড়ি সুহিলপুর গ্রামে যান।
কনে তামান্না খানম চাঁদনী সুহিলপুর গ্রামের আক্তার খানের মেয়ে। তিনি এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী। কনের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান করা হয়। পরে বর-কনে হেলিকপ্টারে করে বোর্ডিং গ্রাউন্ডে আসেন।
বরের বড় ভাই রায়ান আনসারি রিকি জানান, তারা দুই ভাই, কোন বোন নেই। রিদওয়ান আনসারি রিমো ছোট ভাই। তাই আদরের ছোট ভাইয়ের বিয়েকে স্মরণীয় করে রাখতে বর-কনেকে হেলিকপ্টারে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার ভাড়া করা হয়। বিয়ের দিন হেলিকপ্টারে করে কনের বাড়িতে যেতে চেয়েছিলেন ছোট ভাই। সেই আশা পূরণ হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, বিয়ের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। উৎসুক জনতার ভিড়ে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।
এদিকে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে আসার খবরে রীতিমতো ঘটনাস্থলে জড়ো হন গ্রামের উৎসুক জনতা। এছাড়াও খবরে পেকে বর রিদওয়ান আনসারিকে এক পলক দেখতে দুর দুরান্ত থেকে ছুটে আসেন অনেকেই। এ সময়ে সকেলর মুখে ছিল হাসি।